হলোকাস্টের বীভৎস স্মৃতি ধরে রেখেছে ইজরায়েল এই মিউজিয়াম

/১০

বিশ্বজুড়ে বর্তমানে চর্চার শিখরে রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মধ্যপ্রাচ্য সফর। সম্প্রতি, ইজরায়েলে বিশেষ বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ভ্রমণ করেছেন সে-দেশের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী জায়গাগুলি। সেই সূত্রেই ফের আরেকবার চর্চাও উঠে এসেছে জেরুজালেমের স্মৃতিসৌধ ইয়াদ ভাশেমের নাম।

/১০

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি সেনাদের হাতে নিহত হয়েছিলেন প্রায় ৬০ লক্ষ ইহুদি। অবশ্য তারও বহু আগে থেকেই ইহুদি-নিধন শুরু করেছিল জার্মানি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ইজরায়েলই হয়ে উঠেছিল ইহুদিদের অন্যতম আশ্রয়স্থল। জার্মানি, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, পোল্যান্ড থেকে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিলেন বহু মানুষ।

/১০

হলোকাস্টে প্রাণ হারানো ইহুদিদের শ্রদ্ধা জানিয়েই ১৯৫৩ সালে বিশেষ স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে ইজরায়েল। পশ্চিম জেরুজালেমে অবস্থিত মাউন্ট হার্জেল পাহাড়ের গায়ে গড়ে তোলা হয় ইয়াদ ভাশেম।

/১০

৪৪.৫ একর অঞ্চলের ওপর গড়ে ওঠা এই স্মৃতিসৌধের মূলত দুটি অংশ। যার প্রথমটি আদতে গবেষণাগার। হলোকাস্ট এবং বিশ্বযুদ্ধ সংক্রান্ত ইতিহাস চর্চা ও তথ্যভাণ্ডার গড়ে তোলার জন্যই ব্যবহৃত হয় এই গবেষণাগৃহ। এখানেই রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অফ হলোকাস্ট স্টাডিস। দ্বিতীয় অংশটি মিউজিয়াম।

/১০

‘ইয়াদ ভাশেম’ স্থাপনের সময় শুধুমাত্র একটি স্মৃতিসৌধই গড়ে তুলেছিল ইজরায়েল সরকার। হলোকাস্টে নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে স্থাপন করা হয়েছিল অনন্ত শিখা। ভারতের ইন্ডিয়া গেটের মতোই আজও প্রায় ৭০ বছর ধরে অবিরাম জ্বলছে ‘ইয়াদ ভাশেম’-এর এই অগ্নিশিখা। হলোকাস্টের সময়, নাৎসি জার্মানির বিভিন্ন কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নিহত ইহুদিদের চিতাভস্মও সংরক্ষিত আছে এই অনন্ত শিখার নিচেই।

/১০

পরবর্তীতে এই স্মৃতিসৌধের সঙ্গেই গড়ে তোলা হয়েছিল একটি বিশেষ মিউজিয়াম। হলোকাস্ট মিউজিয়াম। শুধু ইহুদিদের ওপর নাৎসিদের নির্যাতনই নয়, বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসকেও ধরে রেখেছে এই মিউজিয়াম। নাৎসি সেনা এবং ইহুদি ব্যক্তিত্বদের ব্যবহৃত জিনিস ছাড়াও এই মিউজিয়ামে রয়েছে নাৎসি শরণার্থীদের পরিযায়নের রেল-ওয়াগন, ভ্যালি অফ দ্য কমিউনিটির ধ্বংসস্তূপের অবশিষ্টাংশ।

/১০

তাছাড়াও বিখ্যাত ইহুদি ব্যক্তিত্বদের স্মরণে রয়েছে ‘হল অফ রিমেমব্রেন্স’ এবং ‘হল অফ নেম’। সেখানেই জায়গা পেয়েছেন অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, ডেভিড বেন, গিনসবার্গ, গোল্ডা মেয়রের মতো স্মরণীয় মানুষরা।

/১০

এই মিউজিয়ামের সর্বশেষ সংযোজন চিলড্রেন’স মেমোরিয়াল। ১৯৮৭ সালে মিউজিয়ামের গা ঘেঁষেই গড়ে তোলা হয় এই স্মৃতিসৌধ। বিশ্বযুদ্ধে হত্যা করে হয়েছিল প্রায় ১৫ লক্ষ নাবালক-নাবালিকাকে। ফুল হয়ে ফোটার আগেই ঝরে পড়া সেইসব শিশুর জন্যই এই বিশেষ সৌধ। অ্যানা ফ্রাঙ্ক থেকে শুরু করে সোফি শোল— এই নামগুলির সঙ্গে কম-বেশি সকলেই পরিচিত আমরা। তাঁদের কর্মকাণ্ডের ইতিহাসকেই জীবিত রয়েছে এই সৌধ।

/১০

গতকাল ইজরায়েলের এই ঐতিহাসিক মিউজিয়ামে গিয়ে বিশেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। দেখা করেন হলোকাস্টের শিকার হওয়া প্রবীণ ব্যক্তিদের সঙ্গেও।

১০/১০

শুধু ইতিহাস সংরক্ষণই নয়, ইজরায়েলের ‘ইয়াদ ভাশেম’ আজও ধরে রেখেছে বিশ শতকের তথা মানব সভ্যতার সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধের স্মৃতি। বিভীষিকাময় এক সময়ের কাহিনি পৌঁছে দিচ্ছে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে…

Powered by Froala Editor

More From Author See More