আঞ্চলিক সাপের বিষ থেকে তৈরি অ্যান্টিভেনামই সফল হবে বিষ-নাশে, বলছেন বাঙালি সর্পবিশারদ

বিষধর হোক, বা বিষহীন— সাপ নিয়ে এখনও একটা বড় অংশের মানুষ রীতিমত আতঙ্কে ভোগেন। আর এই সাপ নিয়েই দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা এবং সচেতনতা বাড়ানোর কাজ করে যাচ্ছেন বাংলার বিশাল সাঁতরা।

হুগলীর নালিকুলের বাসিন্দা বিশাল সাঁতরা একজন সরীসৃপ বিশেষজ্ঞ। দীর্ঘদিন ধরে তাঁর এই গবেষণা, বিশেষ করে সাপেদের নিয়ে। সাপের চরিত্র, তার বিষ, জীবনপ্রণালী সমস্ত কিছুই তাঁর গবেষণার মুখ্য বিষয়। তবে শুধু গবেষণাই নয়। দীর্ঘদিন ধরে বাংলার মানুষকে সচেতন করার কাজও করে আসছেন তিনি। সাপ সম্পর্কে সাধারণের মধ্যে যে অহেতুক ভীতি, সেটা দূর করতেই নানা উদ্যোগ নেন তিনি। ব্রিটেনের অধ্যাপক অনিতা মালহোত্রাই হন, বা বিখ্যাত সর্প-বিশেষজ্ঞ রমিউলাস উইটেকার— সবার সঙ্গেই কাজ করেছেন বিশাল সাঁতরা। গবেষণা করেছেন সাপের বিষ নিয়ে। কিন্তু নিজের রাজ্যেই সচেতনতা বৃদ্ধি পায়নি। তাঁর বক্তব্য, আঞ্চলিকভাবে সাপের বিষ সেভাবে সংগ্রহ করা যাচ্ছে না। করতে গেলে লাল ফিতের ফাঁসে আটকে যেতে হচ্ছে। কিন্তু বহু অ্যান্টি-ভেনামই সেইজন্য তৈরি করা যাচ্ছে না। যার ফলে আখেরে বিপদেই পড়ছে সাধারণ মানুষগুলো।

এই কাজকর্মের মধ্যেই তিনি গিয়েছিলেন আমেরিকার নিউ মেক্সিকোতে, চলতি বছরের জুলাই মাসেও। সেখানকার জেরোনিমো ইভেন্ট সেন্টারে সাপ নিয়ে বিশেষ বক্তৃতা দিয়েছেন তিনি। বলেছেন সাপ নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা, পড়াশোনা। শুধু আক্ষেপ, গোটা বিশ্ব সচেতন হলেও, নিজের জায়গাতেই এই বিষয়ে কোনও সচেতনতা নেই। কুসংস্কার, ওঝার ঝাড়ফুঁকের মাঝে সাপ নিয়ে সেরকমভাবে সচেতনতাই তৈরি হচ্ছে না। শত স্বীকৃতির মাঝেও, সেটাই প্রধান চিন্তা বিশাল সাঁতরার।