ভূ-উষ্ণায়ন ঠেকানোর আশা দেখাচ্ছে বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শুষে নেওয়ার প্রযুক্তি

এই মুহূর্তে পৃথিবীর সামনে সবচাইতে বড় বিপদ নিঃসন্দেহে বাতাসে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ক্রমাগত বৃদ্ধি। মূলত এই কার্বন-ডাই-অক্সাইডের জন্যই ভূ-উষ্ণায়ন বাড়ছে ভয়ানক হারে, হিমবাহ গলছে, বরফশূন্য হচ্ছে পৃথিবী। বাতাসে ভাসমান কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ কমানো সম্ভব না হলে সভ্যতার মৃত্যু যে আর খুব বেশি দূরে নেই,তা নিশ্চিত। অথচ বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড কমিয়ে আনার কাজটি কঠিন বললে কম বলা হয়। কার্বন-ডাই-অক্সাইডের এক-একটি কণার আয়তন একটি পরাগরেণুর ১০ লক্ষ ভাগের এক ভাগ। বাতাসে ভাসমান ১০,০০০টি কণার মধ্যে মাত্র ৪টি কণা কার্বন-ডাই-অক্সাইডের। এহেন সূক্ষ্ম কণাকে বাতাস থেকে বিচ্ছিন্ন করা যে প্রায় অসম্ভব ব্যাপার, সন্দেহ নেই।

সেই কঠিন কাজটাকেই সম্ভব করে এনেছে গ্লোবাল থার্মোস্ট্যাট নামের একটি সংস্থা। তারা আবিষ্কার করেছে বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড ছেঁকে নেওয়ার প্রযুক্তি। যে-কোনও বড় শিল্পকেন্দ্র, কারখানা, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র থেকে বাতাসে বিপুল পরিমাণ কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃসৃত হয়। সেইসব অঞ্চলে এই প্রযুক্তি বাতাস থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইডকে ছেঁকে নিতে সক্ষম। বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি শিল্পকেন্দ্রে সক্ষমতার পরীক্ষা দিচ্ছে এই প্রযুক্তি। এখনও অবধি ফলাফল বেশ আশাব্যঞ্জক।

এই প্রযুক্তি সত্যিই সাফল্য পেলে, পরিবেশ দূষণ রোধে অনেকটাই নিশ্চিন্ত হওয়া যাবে। পরিবেশ বাঁচিয়েও শিল্পকেন্দ্র জারি রাখার চাবিকাঠিও হাতে আসবে। ভূ-উষ্ণায়নকে অনেকাংশেই ঠেকানো সম্ভব হবে। বলা ভালো, পৃথিবীতে প্রাণের আয়ু অনেকটাই তাকিয়ে আছে এই প্রযুক্তির দিকেই।