আন্টার্কটিকায় আবিষ্কার পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ডিমের জীবাশ্ম, উত্তেজনা বিজ্ঞানীমহলে

না-ফোলানো ফুটবলের মতো জিনিসটা খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল ২০১১ সালে। অ্যান্টার্কটিকার সেইমুর দ্বীপে পাথরের স্তরের মাঝখান থেকে খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল জিনিসটা। ভাবছেন নিশ্চই, জিনিসটা কী? গবেষকরা জিনিসটার নাম রেখেছেন জিনিসটা, মনে ইংরেজিত 'দ্য থিং'। কারণ বস্তুর প্রকৃত চরিত্র বিজ্ঞানীদের অজানা। স্যান্টিয়াগো ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামের আশ্চর্য সংগ্রহের একটি এটি।

তবে এর মধ্যেই গবেষকদের একটি দল দাবি করেছেন, তাঁরা জিনিসটির রহস্য ধরতে পেরেছেন। তাঁদের দাবি, এটি একটি জীবাশ্ম। তবে কোনো দেহাংশের অবশেষ নয়। এটি একটি ডিমের জীবাশ্ম। যে ডিমের আয়তন ১১ ইঞ্চি বাই ৭ ইঞ্চির কম নয়। আর এখনও অবধি বিজ্ঞানীদের জানা দ্বিতীয় বৃহত্তম ডিম। প্রথমটি ছিল এলিফ্যান্ট বার্ড নামের একটি বৃহৎ আকৃতির পাখির ডিম। সে পাখি এখন বিলুপ্ত। আর এই রহস্যময় জীবের কোনো অস্তিত্বও পাওয়া যায় না। এমনকি কোনো দেহংশের সন্ধানও পাওয়া যায়নি। গবেষকদের ধারণা এত বড় ডিম যে প্রাণীর, তার দৈর্ঘ্য অন্তত ২০০ ফুট। আর তাও লেজের দৈর্ঘ্য বাদ দিয়ে।

অর্থাৎ ডাইনোসর না হলেও ডাইনোসরের মতো কোনো প্রাণীর অস্তিত্ব ছিল বলেই মনে করছেন টেক্সাস ইউনিভার্সিটির গবেষক লুকাস লেজেন্দ্রে। যদিও বস্তুটি আদৌ ডিম কিনা, বা অন্য কোনো স্থান থেকে এসেছে কিনা; সে সম্বন্ধে কোনো তথ্যই জানা যায়নি। লুকাসের গবেষণা সংক্রান্ত প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে ১৭ জুন নেচার পত্রিকায়। আর এর ফলে বহুদিনের অমীমাংসিত একটি রহস্যের সমাধান হতে চলেছে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীরা।

Powered by Froala Editor