প্রথম মহিলা হিসেবে, ২৬ জানুয়ারি ফ্লাইপাস্ট প্যারেডের নেতৃত্বে স্বাতী রাঠোর

আসছে আরও একটি প্রজাতন্ত্র দিবস। ৭০ বছরে পা দিল দেশের সংবিধান। আর প্রতি বছরের মতো নানা দেশের নিমন্ত্রিত রাষ্ট্রনায়কদের সামনে কুচকাওয়াজে অংশ নেবে দেশের সেনাবাহিনী। দিল্লির রাজপথের আকাশে উড়ে যাবে বায়ুসেনার বিমান। তবে এবছর রয়েছে আরও একটি চমক। সেনাবাহিনী বললেই যাঁদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে একজন সুঠাম চেহারার পুরুষের ছবি, তাঁদের জন্য তো আশ্চর্যের বিষয় বটেই। কারণ এ-বছর ফ্লাইপাস্ট প্যারেডের নেতৃত্ব দেবেন একজন মহিলা সেনানী। এই প্রথমবার। হ্যাঁ, বায়ুসেনার তরফ থেকে এবার এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এয়ার লেফট্যানেন্ট স্বাতী রাঠোরকে।

রাজস্থানের আজমের শহরের কাছে একটি গ্রামে জন্ম এবং বেড়ে ওঠা স্বাতী রাঠোরের। বাবা ভবানী রাঠোর ছিলেন সেচ বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মচারী। খুব ছোটবেলা থেকেই দেশের জাতীয় পতাকার প্রতি বিশেষ আকর্ষণ ছিল স্বাতীর। ধীরে ধীরে বড়ো হতে হতেই তাঁর সেই স্বপ্ন মূর্ততা পেল। তখন অবশ্য বায়ুসেনায় মহিলাদের অংশগ্রহণ প্রায় ভাবাই যেত না। কিন্তু মেয়ের স্বপ্নকে কোনোদিন বাধা দিতে চাননি বাবা। এক ছেলে এবং এক মেয়েকে বড়ো করেছেন সমানভাবেই। আর তারপর ২০১৩ সালে এল সুযোগ। বায়ুসেনার পরীক্ষায় বসলেন স্বাতী। আর ২০০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে থেকে একমাত্র তাঁকেই বেছে নেওয়া হল শেষ পর্যন্ত।

২০১৪ সাল থেকে এই ৬ বছর সাফল্যের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন স্বাতী। তবে এমন অভাবনীয় সম্মানের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না তিনিও। স্বাতী রাঠোরের এই কৃতিত্বে খুশি পরিবারের সকলেই। তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছে রাজস্থান সরকারও। আর স্বাতী রাঠোরের হাত ধরেই লিঙ্গসাম্যের এক নতুন ইতিহাস তৈরি হল।

Powered by Froala Editor

More From Author See More