তেজস্ক্রিয় আবর্জনা ও একটা সিনেমা – দোস্তজী

এভাবেও জুড়ে যায়

জাপানের নারা শহর। ছিমছাম, রাস্তায় ঘুরে বেড়ায় হরিণ, হোটেলের জানলায় সবুজ পাহাড়। প্রসূনের ছবি ‘দোস্তজী’ প্রদর্শিত হবে এখানে— নারা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। হোটেলে দেখা করতে এলেন এক জাপানি ভদ্রমহিলা। পরিষ্কার বাংলা উচ্চারণে নমস্কার জানিয়ে বাড়িয়ে দিলেন হাত। হাতে এক বাক্স মিষ্টি আর একটা কার্ড। কার্ডে আঁকা আছে ছাতিম গাছ। আর নীচে লেখা “Tagore’s Tree”। প্রসূন অবাক তো বটেই, খানিকটা বিহ্বল। ভদ্রমহিলা এক গাল হেসে জানালেন, তিনি বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী। এখানের বিশ্ববিদ্যালয়ে রবীন্দ্রনাথ এবং বাংলা পড়ান। প্রদর্শনী কর্তৃপক্ষের অনুরোধে প্রসূনের সিনেমাটি দেখেছেন এবং জাপানি ভাষায় অনুবাদের কাজে সাহায্য করেছেন। দেখতে গিয়ে আপ্লুত হয়েছেন। মনে পড়েছে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি ও মানুষজন। মনে পড়েছে রবীন্দ্রনাথ। তাই ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাতে এসেছেন। প্রসূনও আপ্লুত – এভাবেও জুড়ে যায়!

প্রজাপতি উড়ে যায়

একটা পাড়াতুতো দীঘি। খালি গায়ে হাফ প্যান্ট পরা দুটি বালক ব্যাঙবাজি করার চেষ্টা করছে। হচ্ছে না। আকাশময় কাজল কাজল মানুষী মেঘের মৌরসিপাট্টা। বৃষ্টি আসছে। 

তারপরেই আমরা চলে যাব একটা গেঁয়ো চায়ের দোকানে। সন্ধ্যা হয়ে গেছে আর অঝোর বৃষ্টি। টুকটাক চা খেতে খেতে রেডিওতে খবর— বাবরি মসজিদ ভাঙার তিন মাস বাদে মুম্বাইতে বোমা বিস্ফোরণ। হলুদ বালবের ছায়া মাখা আলোয় যেন আঁধারই বেশি। কুশীলবদের স্পষ্ট দেখা যায় না। চায়ের কাপ, বিস্কুটে কামড়ের শব্দ। একটা পাগল মানুষ খাবারের জন্য বিরক্ত করে। 

গল্প ফিরে যায় আবার দুই বালকের কাছে। ওদের আছে লাটাই ভর্তি সুতো, নীল ঘুড়ি, কাদায় ফুটবল, ভাঙ্গড়িওয়ালা, আরো হরেক কিসিম দস্যিপনার নিত্য সঙ্গী। মোবাইল ও কম্পিউটারের দাপটে শহর ও শহরতলি থেকে অধুনা লুপ্তপ্রায় খেলার অনুসঙ্গগুলো ফিরে ফিরে আসে। ফিরে পাই ঝুলনের পাহাড় ও নদী, টিনের কটকটি, কেটে যাওয়া ঘুড়ি। ছোট ছোট ডিটেল। যাদের হাত ধরে গড়ে ওঠা বন্ধুত্ব। দুই বালকের বন্ধুত্বের গল্প। স্কুল ফেরত সীমান্ত এঁকে দেওয়া নদীর চর, যেখানে এপারের ঘুড়ি কেটে গেলে অন্য দেশে চলে যায়, ভিসা ছাড়া ভাসতে ভাসতে। আমরা দর্শকরা ভেসে যাই সেই সব দিগন্ত ছুঁয়ে আসা লং শটে। মন ভালো করে দেওয়া নরম নরম দৃশ্যপট। মুসলমান জোলার সন্তান আর হিন্দু যজমানের ছেলের হয়ে ওঠা বন্ধুত্বের দিনগুলিতে আমাদের সফর। যে সফরে আমাদের সঙ্গী হয় প্রকৃতি, বন্ধু ক্যামেরা। এক কথায়, ‘দোস্তজী’ এক নিষ্পাপ বন্ধুত্বের গল্প এবং চোখ ভেজা বিচ্ছেদের গল্প। চরম বিচ্ছেদের পরে যেটুকু থেকে যায়, প্লাবনের পরে প্লাবনভূমি জুড়ে যে পলি পড়ে, সেই পলিতেই জন্ম নেয় আলোকময় তরুলতা, তার রসে সিঞ্চিত শুঁয়োপোকা থেকে প্রজাপতি উড়ে যায় আবার।

গরিবের ঘোড়ারোগ

চলচ্চিত্র জগতে প্রসূন, প্রসূন চ্যাটার্জির দুধের দাঁত পড়েনি এখনো। নেহাতই নতুন। প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি ‘দোস্তজী’। ‘দোস্তজী’ শব্দটি মুর্শিদাবাদ জেলার গ্রামাঞ্চলে বন্ধুকে সম্বোধন করার আঞ্চলিক কায়দা বিশেষ। কথায় কথায় জানা যায়, প্রায় বছর দশেক ধরে প্রসূনের যাতায়াত মুর্শিদাবাদের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে। প্রান্ত কলকাতার দমদম ক্যান্টনমেন্টে বড় হয়ে ওঠা যুবক অনর্গল কথা বলতে পারে ওখানকার লোকাল ডায়ালেক্টে। দীর্ঘ সময় ধরে একটু একটু করে খুঁটে আনা ডিটেলগুলো, দৃশ্যপট, শব্দবন্ধ দেখলে বা শুনলেই বোঝা যায় যে প্রস্তুতির কোনো ফাঁক ছিল না। ফাঁক যেটা ছিল, সেটা হল গরিবের ঘোড়া রোগ। মধ্যবিত্ত পরিবার, পার্টিশনের পর ওপার বাংলা থেকে উদ্বাস্তু হয়ে এসে, কোনোরকমে দাঁড়িয়ে ওঠা সংসারের সন্তান হয়ে একটা সিনেমা বানানোর স্বপ্ন দেখার রোগ। স্ক্রিপ্ট নিয়ে প্রোডিউসারের দরজায় দরজায় ‘No Entry’ বোর্ড দেখে একটুও ক্লান্ত না হয়ে ক্রাউড ফান্ডিং, যাতে শুটিং টিমের একবেলা চিড়েও ভেজে না। কী করে, কী করে যেন কোনোরকমে, একটু একটু করে জোগাড় হয়। দু-খেপে কয়েকমাস ধরে লঙ্গরখানা চালিয়ে আউটডোর। অধিকাংশ চরিত্র লোকাল। বিশেষ করে প্রোটাগনিস্ট দুই বালক চরিত্র। নাট্যজগতের কয়েকজন। অনেকেই সেই অর্থে ক্যামেরার সামনে প্রথম। নক্ষত্রবিহীন সাদামাটা আকাশ, অথচ চরাচর কি ভীষণ জোনাকিময়। সিনেমাটোগ্রাফার তুহিন ভালো স্টিল তুলতেন, ভালো ল্যান্ডস্কেপ, জীবনে প্রথম মুভি ক্যামেরায় চোখ। যতদূর মনে পড়ছে - একটা গ্রাম্য সাইকেল সারাইয়ের দোকানে রেডিও বা টেপ রেকর্ডারে কয়েক সেকেন্ডের একটা পুরনো বাংলা গানের কলি ছাড়া কোনো মিউজিক নেই, নেই কোনো আবহের সুর— যন্ত্রে অথবা মনুষ্য কণ্ঠে। প্রসূনের কথায়, “প্রকৃতির মধ্যে এত সুর পেয়ে গেলাম, এত বৃষ্টির টুপটাপ, গুড়ুগুড়ু মেঘ, সর-সর ধানের শীষে হাওয়া, পাখির ডাক বা ঝিঁঝিঁ, হাঁড়িতে ভাত ফোটার টগবগ— এর পরে আর কি আবহ লাগতে পারে?”

তেজস্ক্রিয় আবর্জনা

১৯৯২ সালের ডিসেম্বরে বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও তার পর পরই ১৯৯৩ এর মার্চে মুম্বাইতে বোমা বিস্ফোরণ যে বিপুল মারণ বিষ ছড়িয়েছিল এই উপমহাদেশের বায়ুমণ্ডলে, তার রেশ মরসুমি ছিল না। ঠিক এমনই একটা সময়ের পটভূমিতে, সীমান্তবর্তী গ্রাম্য পরিবেশে বড়ো হচ্ছে দুটো বালক— সফিকুল আর পলাশ। তাদের একসঙ্গে স্কুল যাওয়া, পড়তে বসা, পাশাপাশি ঘর। পুজোর প্রসাদ, ঈদের সিমুই এ-বাড়ি থেকে ও-বাড়ি। বড়ো বিস্তীর্ণ, অনাবিল আলোকময় প্রান্তর, সবুজ ধানের ঢেউ, পুকুরে টাপুর-টুপুর বৃষ্টি। মেঠো পথ ধরে হেঁকে যায় আচারওয়ালা, কটকটি বিক্রেতা। অমলিন এক শান্ত যাপন, ঐশ্বর্য নেই তেমন, বরং টেনেটুনে চলা সংসার সব। কিন্তু প্রকৃতি ও সমাজের ভারসাম্য ছিল। কৌটো খোলা বায়োস্কোপে বচ্চন, গুলতির টিপ ছিল। শান্তির কোনো অভাব নেই। ফলে একটা দুরন্ত আর একটা শান্ত, একটা পড়াশুনায় মনোযোগী, অন্যটা দুষ্টুমিতে তুখোড় হওয়া সত্ত্বেও বন্ধুত্ব আর ভালোবাসায় খামতি হয়নি। কিন্তু হাওয়া বয়, সে তো আর স্থাণু থাকতে পারে না। ১৯৯২ এর ডিসেম্বরের পর থেকেই সুদূর অযোধ্যা থেকে হাওয়ায় হাওয়ায় ভেসে আসে বিষ, ঘৃণা, অবিশ্বাস। গলিতে, রাস্তায়, আনাচে কানাচে দুই সম্প্রদায়ের মানুষ, যারা বেঁধে বেঁধে ছিল এতদিন, রোজকার ওঠাবসা, তারাই ভিন্ন চোখে তাকায়। অজানা ভয়, অতৃপ্ত প্রতিশোধের কর্কশ শব্দগুলো ক্রমশ উন্মুক্ত হতে থাকে। বাজারে ‘ছোটা বাবরি মসজিদ তৈরির প্রচার শুরু হলে, রাম-পূজার মন্ত্র না-জানা পুরোহিতই সে-মন্দিরে রামের মূর্তি স্থাপন করে বসে। দর্শকও মিলিয়ে নেয় সেই অবাঞ্ছিত সময়ের স্মৃতি ও ক্ষত। অবাক বালকেরা প্রত্যক্ষ করে যে ওদের বন্ধুত্বের রথের চাকা আটকে গেছে সেইসব তেজস্ক্রিয় আবর্জনায়। শিশু মন বারংবার বিচলিত, জর্জরিত হতে থাকে বড়োদের বানানো উপদ্রুত আবহাওয়ায়। এই সিনেমা সেই আবর্জনা পরিষ্কারের গল্প বলে, ভালোবাসার শাশ্বত শক্তিকে মনে করিয়ে দেয়। অপাপবিদ্ধ শৈশবের জয়গান গায়। 

সিনেমা হিসেবে দোস্তজীর সবচেয়ে জোরের জায়গা হল, কাহিনির প্রতি আস্থা। একটিও আলটপকা শট চোখে পড়বে না, যেটা গল্পের প্রতি অনুগত নয়। স্ক্রিপ্টের লেখক কোন জ্ঞান বা তত্ত্বের ভাণ্ড নিয়ে বিতরণে বসেননি। শুধু মাত্র সত্যের প্রতি নিষ্ঠা রেখেছেন। শৈল্পিক যতটুকু, বড়ো সহজিয়া, রোজকার চলাচলে, ওঠাবসায়— সেটুকুই। যাত্রার মঞ্চের পেছনে রাম আর রাবণকে বিড়ি ভাগাভাগি করে খেতে দেখে যেন উপলব্ধি হয় দুই বালকের— রঙ্গমঞ্চে যতই বৈরিতা থাকুক, প্রকৃত প্রস্তাবে ওরা বন্ধুই। প্রসূনের সিনেমা মন এভাবেই কথা বলে, আঙুল তোলে।



সিনেমা তৈরির গল্প

গল্পে গল্পে শোনা হয়ে যায় সিনেমা তৈরির গল্প। ছোকরা পরিচালক তখন হন্যে হয়ে খুঁজছেন দুটো বালক অভিনেতা, যারা এই সিনেমার দুই মূল চরিত্র। স্থানীয় হতে হবে, নইলে কিছুতেই ডায়ালেক্ট আনতে পারবে না। লোকাল স্কুল, খেলার মাঠ চষে ফেলছেন। গ্রামের পাড়ায় পাড়ায়, আনাচে কানাচে চলছে খোঁজ। মুর্শিদাবাদে যে বন্ধুর বাড়িতে পরিচালক আছেন, সেই বাড়ির দরজায় ঠকঠক। দরজা খুললেন প্রসূন। একটা আট-নয় বছরের ছেলে, এলোমেলো চুল, আধ ময়লা জামা, হাফ প্যান্ট। চকচকে চোখ তুলে বললো, “এখানে নাকি সিনেমার জন্য লোক নেওয়া হচ্ছে? আমি ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলব।” ভেতরে ডেকে বসানো হল। নামধাম ইত্যাদি জিজ্ঞেস করায় সে বিরক্ত, কারণ সে ডিরেক্টরের সঙ্গেই কথা বলবে, প্রসূনের সঙ্গে নয়। এত অল্প বয়সি ডিরেক্টর হয় না, তাকে বোকা বানিয়ে লাভ নেই। তার তাড়া আছে, খেলতে যাবে। এরপরের গল্প ইতিহাস। গ্রিসের অলিম্পিয়া ফিল্ম ফেস্টিভালে শ্রেষ্ঠ শিশু অভিনেতা সফিকুলের চরিত্রে বিচ্ছু আরিফ। ইটভাটা শ্রমিকের ছেলে। আর তারপর আর শুধু শিশু অভিনেতা নয়, মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার শিরোপা, গোল্ডেন গ্লোবাল— যৌথভাবে আরিফ ও আসিক!

অপর চরিত্র পলাশ, সফিকুলের পরিপূরক। শান্ত, দুষ্টুমিতে কম, মাষ্টারের পড়া করে রাখে, আর সফি না করে শাস্তি পেলে কষ্ট পায়। পলাশের চরিত্রে আসিক। বাবা ছুতোর, একসময় পরিযায়ী শ্রমিক ছিলেন। আসিকের দিদা নাতিকে কিছুতেই সিনেমায় অভিনয় করতে দেবেন না। ধর্মে ছবি তোলায় মানা আছে। তিনি কিছুতেই মানবেন না। অবশেষে তাঁকে বোঝানো হল— হজে যাওয়া তো পুণ্যের কাজ। সেই হজে যেতে পাসপোর্ট লাগে, আর পাসপোর্টে লাগে ছবি! তাহলে কি লোকে হজে যাবে না। দিদা মানলেন। আর আমরা হতে পারলাম অন্য এক পুণ্যের শরিক।


শব্দহীন শোভাযাত্রা

লন্ডনে প্রিমিয়ার শো চলছে, প্রথমবারের জন্য পর্দায়। হাউস ফুল, গুটিকয় বাঙালি বা ভারতীয়, অধিকাংশ ব্রিটিশ। সিনেমা শেষে হাত তালির মধ্যেও ফোঁপানোর আওয়াজ স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে। এই প্রথমবার প্রসূনের মনে হল, তিনি পেরেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে এক রুশ সাংবাদিক কেঁদে ফেললেন প্রসূনকে বুকে জড়িয়ে ধরে। ভদ্রলোক সন্তান হারিয়েছেন কিছুদিন আগে। সেই বাচ্চাটি পাখির ডাক নকল করত। ঠিক সফির মতো! হলের বাইরে একজন বয়স্ক মহিলা, চোখাচোখি হতে হাত জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন। সন্তানরা দূরে দূরে, স্বামী নেই, থাকেন আরেক নিঃসঙ্গ বান্ধবীর সঙ্গে। কথা দিলেন, বাড়ি ফিরে বন্ধুকে ‘দোস্তজী’ বলে ডাকবেন। প্রসূন বুঝতে পারছেন, তিনি পেরেছেন ছুঁয়ে যেতে, মনে করিয়ে দিতে ব্যক্তিগত অনুভব, হাসি, কান্না। আর আমরা, দর্শকরা ফিরি একাকী শব্দহীন শোভাযাত্রায় একান্ত আপন অনুভবের পদতলে।

প্যান্ডেমিক সময় ধরে চলেছে পোস্ট প্রোডাকশনের এর কাজ। সে এক বিচিত্র ওষ্ঠাগত সময়। নিষেধাজ্ঞা জারি সর্বত্র৷ তার মধ্যেই কাজ চলেছে। অবশেষে আলোয় আলোয় বড়ো পর্দায় প্রথম মুক্তি— ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার বিএফআই লন্ডন— অক্টোবর, ২০২১। ১৯৬০ সালে সত্যজিতের ‘অপুর সংসার’-এর আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার এখানেই। তারপর পরিক্রমা জারি আছে। গত একবছরে ছাব্বিশটি দেশে ঘুরতে ঘুরতে আটটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার। গ্রিসের অলিম্পিয়া, সুইডেনে গোটেবর্গ, দক্ষিণ কোরিয়ার জুয়েনজু হয়ে ঢাকা, জাফনা (শ্রেষ্ঠ ছবি),  জিও ম্যামি (ইন্ডিয়া গোল্ড), কেরালা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল। স্মাইল ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে দোস্তজীর মাথায় নতুন পালক— শ্রেষ্ঠ পরিচালক। তারপরেই এল ইউনেস্কোর সিইএফইজে পুরস্কার এবং ইউকে এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভালে শ্রেষ্ঠ ছবি। এছাড়াও প্রদর্শিত হল জ্লিন্, বুসান, শারজা (শ্রেষ্ঠ ছবি), ডারবান ও জাপানের নারা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে।

সিনেমাপ্রেমী মানুষ একটা ভালো চলচ্চিত্র দেখার জন্য অপেক্ষা করে, করতে হয়। জাপানের নারা ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভালে সর্বোচ্চ স্বীকৃতি গোল্ডেন শিকা (শ্রেষ্ঠ ছবি) হাতে নিয়ে প্রসূনেরও মনে পড়ছিল সেইসব অপেক্ষার দিনগুলো। ছক-ছেনালির পরিধি ছাড়িয়ে, সমসময়ে সিনেমার অনন্ত সম্ভাব্য স্বপ্নের নিকটবর্তী ইস্টিশনে পৌঁছে দেওয়ার মতো একটি চলচ্চিত্র আপাতত মুক্তিপ্রাপ্ত, প্রেক্ষাগৃহে— দর্শকের জন্য। কথা দিচ্ছি, সেই কান্না ‘দোস্তজী’ কাঁদাবে, যে কান্নায় যা কিছু মলিন ও অশুভ, ধুয়ে মুছে একাকার হয়ে যায়।

Powered by Froala Editor

More From Author See More