শহরতলির স্টেশনে চলমান সিঁড়ি এবং লিফট, সামাজিক দূরত্ববিধি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ রেলের

ঠিক কবে থেকে রেল চলবে বাংলায়, সে-ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত করে কিছুই জানায়নি সরকার। তবে খুব শীঘ্রই যে শুরু হতে চলেছে রেল পরিষেবা, তাতে সন্দেহ নেই। স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার দরুন স্টেশন চত্বরগুলি আপাতত ফাঁকাই রয়েছে। সেই সুযোগটাকেই কাজে লাগাল পূর্ব রেল। আমূল বদলে ফেলল পরিকাঠামো।

হাওড়ার শহরতলির বিভিন্ন রেলস্টেশনে বসতে চলেছে চলমান সিঁড়ি এবং লিফট। সম্প্রতি হাওড়া ডিভিশনের ডিএমআর নিশ্চিত করে জানিয়েছেন এই বিষয়ে। শিয়ালদহ লাইনের বালিগঞ্জ জংশনে দু-এক বছর আগেই বসেছিল চলমান সিঁড়ি। এবার হাওড়া লাইনের ছ’টি স্টেশনে লিফট এবং আরও ছ’টি স্টেশনে বসছে চলমান সিঁড়ি বা এসক্যালেটর। 

সংক্রমণের এই আবহে রেলে যাতায়াত শুরু হলে যে ভিড় সামলানো বড়ো দায় হয়ে দাঁড়াবে সেই কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত। এই ব্যবস্থা চালু হলে ওভারব্রিজের ব্যবহার কমলে যাত্রীদের সুবিধা হবে অনেকটাই। পাশাপাশিই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে সুষ্ঠুভাবে। এমনটাই মনে করছেন রেল কর্তৃপক্ষ।

প্রথমে মেনরোড সংলগ্ন স্টেশনগুলিতে যেমন বর্ধমান, ব্যান্ডেল, ডানকুনি, রামপুরহাট প্রভৃতি স্টেশনে শুরু হবে এই পরিষেবা। পরবর্তীকালে এই প্রযুক্তি বসবে অন্যান্য স্টেশনগুলিতেও। যাতে রেল পরিষেবা শুরুর আগেই এই কাজ শেষ হয়, সেই মতো নির্দেশও দেওয়া হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং স্টাফদের। তবে বড়ো প্রশ্নচিহ্ন ঝুলে আছে রেলের বাজেটে। রেলের ভাঁড়ার যে শূন্য তার হদিশ মিলেছে খোদ রেলমন্ত্রকের কথাতেই। তাই এই বারোটি স্টেশনের কাজ শেষ হওয়ার পরে পরবর্তী স্টেশনগুলিতে ঠিক কবে শুরু বসবে এই প্রযুক্তি। সে ব্যাপারে এখনও অনিশ্চিত রেল কর্তৃপক্ষ...

আরও পড়ুন
রেলট্র্যাক ছাড়াই চলবে টয়ট্রেন, বিশেষ পরিষেবা উত্তরবঙ্গের তিনটি পার্কে

Powered by Froala Editor