খাওয়া যাবে হাতের চামচটিও, পরিবেশ বাঁচাতে বেনজির উদ্যোগ

সারা পৃথিবী জুড়ে জোরকদমে প্লাস্টিক ব্যবহার কম করার প্রচার চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে এই তৎপরতা আমাদের আশপাশের এলাকাকে প্লাস্টিকের হাত থেকে বাঁচাতে পারে। প্লাস্টিক জমে যাওয়ার ফলে স্থল ও জলের উভয়ের ক্ষতি সম্পর্কে আমরা কম-বেশি ওয়াকিবহাল।  কিন্তু আদৌ কি আমরা নিজেদের সচেতনতা বাড়াতে পেরেছি?

এই সচেতনতা ও সতর্কতা বাড়াতেই সম্প্রতি ন্যাশানাল জিওগ্রাফি একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের সিনেমা উপস্থাপিত করেছে।

চামচ দিয়ে তো আমরা নানাবিধ খাবার খাই, কিন্তু সেই চামচটিকেই যদি একটি খাবারে পরিণত করে ফেলা যায়! এমনই চমকপ্রদ তথ্য নিয়ে এই কয়েক মিনিটের সিনেমাটি বানানো হয়েছে।

 এখনো অবধি আমরা চামচকে খাদ্য করবার কথা শুনিনি। যে চামচে খাবার খাওয়া যায় আবার সেই চামচটিও খাবার যোগ্য ও সুস্বাদু।

প্রতি বছর ভারতে একশো কুড়ি লক্ষ প্লাস্টিকের চামচ বাতিল হয়। প্লাস্টিক একটি রাসায়নিক পদার্থ যা শরীরের চরম ক্ষতি করে। বিশ্ব উষ্ণায়নের অন্যতম প্রধান কারণ পৃথিবীতে প্লাস্টিকের বিপুল ব্যবহার। অতিরিক্ত প্লাস্টিকের ব্যবহার পরিবেশ দূষণ বাড়িয়ে দেয়। রাস্তার ধারে ড্রেন আটকে যাওয়ার প্রধান কারণ প্লাস্টিকের উপস্থিতি।

এই খাবার চামচটি প্রথম ২০১১ সালে ভারতের হায়দ্রাবাদে তৈরি হয়। এই চামচটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। জোয়ার, চাল এবং আটা দিয়ে এই চামচ তৈরি হয়। তিন বছর পর্যন্ত এই চামচ সংরক্ষণ করা যাবে। চামচটি দিয়ে আপনি খেতে পারেন আবার চামচটিকেও খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। ফেলে দিলে চার পাঁচ দিন পর সেটি পচে যাবে।

চামচটি দেখে কাঠের তৈরি মনে হয়। এটি খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু। এ চামচ বানাতে জোয়ান, মশলা যোগ করা হয়। এখনো পর্যন্ত অনেকেই এমন চামচ দেখেননি। চামচটি বানানোর সময় চিনি, জিরে, নুন আন্দাজ করে দিতে হয়। এই খাবারটি একটি জোয়ার রুটির সমান। প্রায় দেড় লক্ষাধিক চামচ এখনো অবধি সারা ভারতে বিক্রি হয়েছে।

বেকারি ফুড প্রাইভেট লিমিটেড থেকে নারায়ণ পেসাপাথি জানান যে, প্লাস্টিক সস্তা তবে তিনি প্রচুর পরিমাণে প্লাস্টিক বর্জন করে সম্পূর্ণ নতুন ধারার কাজ করতে চাইছেন। পরিবেশ বান্ধব এই চামচ আগামী দিনে পরিবেশে প্লাস্টিকের উপস্থিতি বিপুল পরিমাণে কমাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।