আসছে অলিম্পিক, অনুশীলনের খরচ চালাতে গাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত ভারতীয় স্প্রিন্টারের

মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রভাবে আর্থিক পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে সমাজের সব স্তরেই। খেলাধুলার জগতে রীতিমত সংকটে পড়েছেন উদীয়মান খেলোয়াড় থেকে শুরু করে প্রতিষ্ঠিত ক্রীড়াবিদরাও। এবার মহামারীর জেরে চলা দীর্ঘকালীন লকডাউনের জন্য আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় নিজের বিএমডব্লিউ গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন ভারতীয় মহিলা দলের প্রিন্টার দ্যুতি চন্দ।

১০০ মিটার দৌড়ে বর্তমান জাতীয় রেকর্ড রেকর্ডের অধিকারী দ্যুতি জানিয়েছেন, অলিম্পিকের জন্য তাঁর প্রস্তুতি ভালোই চলছিল। আপাতত ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে প্রশিক্ষণ নিচ্ছিলেন তিনি। লকডাউনের আগে অবধি প্রশিক্ষণের খরচ চালাতে সেরকম কোনো সমস্যা না হলেও, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার পরেই পিছিয়ে দেওয়া হয় টোকিও অলিম্পিক। অলিম্পিক অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরেই অনুশীলনের জন্য খরচা জোগাড় করা রীতিমতো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে তাঁর পক্ষে।

প্রায় তিন মাস যাবৎ লকডাউন চলাকালীন সেভাবে প্রশিক্ষণ নিতে না পারায় বর্তমানে দ্যুতির কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। অলিম্পিক গেমসে কোয়ালিফাই করার জন্য যে প্রতিযোগিতায় নামতে হবে তার জন্য খুব বেশি সময় আর হাতে নেই। কিন্তু সেই প্রশিক্ষণের খরচ চালানোর জন্য চাই নতুন স্পনসর। মহামারীর ধাক্কায় সেই সন্ধানও আপাতত বিশ বাঁও জলে। কিন্তু তাও যাতে অনুশীলনে খামতি না থাকে, তার জন্যই নিজের সাধ করে কেনা গাড়িটি বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন বলে দ্যুতি জানিয়েছেন।

সম্প্রতি ২০২০ সালের অর্জুন পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন তিনি। এশিয়ান গেমসে দু’বারের রৌপ্য পদক বিজেতা ২৪ বছর বয়সী এই স্প্রিন্টার জানিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে কোনও প্রতিযোগিতায় নামার জন্য শারীরিক সক্ষমতার চূড়ান্তে পৌঁছতে কম করে সাত মাস অনুশীলন করতে হয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সেটা কতটা সম্ভব হয়ে উঠবে, সেটাই চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে দ্যুতির কপালে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের টোকিও অলিম্পিকের শুরুর দিন নির্ধারিত হয়েছে ২৩ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট অবধি। ‘বিগেস্ট শো অন আর্থ’-এ জায়গা করে নিতে হলে, দ্যুতিকে কোয়ালিফাই করতে হবে ২০২১ সালের ২৯শে জুনের মধ্যে।

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
অলিম্পিকে তিনবার সোনাজয়ী, চলে গেলেন কিংবদন্তি হকি খেলোয়াড় বলবীর সিং