১ জুলাই থেকেই পর্যটকদের জন্য খুলে যাচ্ছে দার্জিলিং-দিঘা

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ একদিকে বেড়েই চলেছে ক্রমশ, অন্যদিকে তারই মধ্যে সচল হচ্ছে সমস্ত ক্ষেত্রই। আর্থিক পরিচলনের অবস্থা ঠিক করতে এবার পর্যটন শিল্পের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। আগামী ১ জুলাই থেকেই দার্জিলিংয়ের পাশাপাশি দিঘাতেও ভ্রমণের অনুমতি মিলবে পর্যটকদের।

কয়েকদিন আগেই পর্যটকদের জন্য দার্জিলিংয়ের দরজা খুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল সরকার। তার দিন চারেকের মধ্যেই দিঘার ক্ষেত্রে একই সিদ্ধান্ত। খুলে যাবে দিঘার অধিকাংশ হোটেলই। তুলে নেওয়া হচ্ছে সমুদ্রে স্নান করার নিষেধাজ্ঞাও। সচল হতে চলেছে শংকরপুর, রাজপুর, মন্দারমনি প্রভৃতি অঞ্চলগুলিও। 

তবে সতর্কতাগ্রহণের জন্য বিশেষ প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। পাঁচজনের সেই কমিটিতে রয়েছেন দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যরা এবং সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ আধিকারিকরা। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মোট ক্ষমতার ৫০ শতাংশ পর্যটকদের জায়গা দিতে পারবে হোটেলগুলি। ফাঁকা রাখতে হবে অর্ধেক রুম। সেগুলি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন পদ্ধতিতে ব্যবহার করতে দিতে হবে পর্যটকদের। ফাঁকা ঘরগুলি জীবাণুমুক্ত করতে হবে দৈনিকভাবে। এছাড়াও হোটেলে গাড়ি ঢোকা এবং বেরনোর সময় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে স্যানিটাইজেশন। পর্যটকদের জন্য তৈরি হয়েছে বিশেষ নির্দেশিকাও। তবে মূলত পারিবারিক পর্যটনের ওপরেই জোর দিচ্ছে রাজ্য। বন্ধ থাকছে পিকনিক। অনুমতি দেওয়া হয়নি বাসে করে কোনো পর্যটকদলের ভ্রমণেও।

উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণের সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলের অর্থনীতি মূলত পর্যটনের উপরেই নির্ভরশীল। কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে লকডাউন শুরু হওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়েছিল আর্থিক ব্যবস্থা। তিন মাস পর্যটকশূন্য হওয়ায়, উপার্জন বন্ধ হয়েছিল বহু মানুষের। পাশাপাশি গ্রীষ্মকালের সময়ে বাকি মাসগুলোর থেকে, বেশি ভিড় থাকে পর্যটকদের। অনেকেরই সারা বছরের উপার্জনের একটি বড় অংশ নির্ভর করে এই সময়টার উপরেই। কিন্তু মাঠে মারা গেছে সেই সুযোগ। ফলে দ্রুত সেই হাল ফেরাতেই সিদ্ধান্ত সরকারের। দুই জায়গাতেই পর্যটনেরর অনুমতি মেলায় উচ্ছ্বসিত কলকাতাসহ রাজ্যের সকল ভ্রমণপিপাসুরাই। তবে সংক্রমণ যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, অর্থনীতির অবস্থা ফেরাতে গিয়ে, আরও বড়ো কোনো বিপদ ডেকে আনবে না তো এই সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্নই ঘুরছে এখন বিভিন্ন মহলে...

আরও পড়ুন
লকডাউনে বন্ধ পর্যটন, খাদ্যের অভাবে শরীর ভাঙছে হাতিদের

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
তাজমহলের থেকেও বিখ্যাত এই বস্তি, ভারতে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে দরিদ্র পর্যটন