রাস্তায় পড়ে থাকা সিগারেটের ফিল্টার ঘিরে চকের দাগ, সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ পুনে-তে

খোলা রাস্তায় সিগারেট টানতে টানতে এগিয়ে যাচ্ছেন কেউ। আগুন শেষ পর্যন্ত চুঁয়ে গেলে ফিল্টারটি ছুঁড়ে ফেলে দিলেন রাস্তার ধারে কোথাও। অথবা রাস্তার উপর ফেলে পা দিয়ে চেপে দিলেন। এমন দৃশ্য তো সব জায়গাতেই দেখা যায়। কিন্তু ছোট্ট ছোট্ট এই সিগারেটের বাট থেকেই যে রোজ একটু একটু করে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ, সেই খবর হয়তো অনেকেই রাখেন না। আর এই প্রায় স্বাভাবিক ঘটনাটির বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতেই এবার পথে নেমেছেন পুনে শহরের যুবক-যুবতীরা। ইতিমধ্যে তাঁদের অভিনব প্রচারে সাড়া পড়ে গিয়েছে সামাজিক মাধ্যমেও।

সাধারণভাবে মনে করা হয়, সিগারেটের ফিল্টার বুঝি তুলো দিয়ে তৈরি। কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভ্রান্ত। এই ফিল্টার তৈরি হয় সেলুলোজ অ্যাসিটেট নামের এক ধরনের পলিমার থেকে। আর প্লাস্টিকের বোতল বা অন্যান্য প্লাস্টিক সামগ্রীর তুলনায় সিগারেটের ফিল্টারও প্লাস্টিক দূষণের জন্য কোনো অংশে কম দায়ী নয় বলেই মনে করছেন অন্যতম উদ্যোক্তা বিবেক গৌরব। তবে এর জন্য প্রচলিত প্রথা মেনে রাস্তা পরিষ্কার করার বদলে তাঁরা বেছে নিয়েছেন এক অভিনব কর্মসূচি। রাস্তায় কোথাও সিগারেটের ফিল্টার পড়ে থাকতে দেখলেই সেখানে রঙিন চক দিয়ে একটি গোলাকৃতি চিহ্ন এঁকে তার সঙ্গে নানা ব্যাঙ্গাত্মক কথা লিখে দিচ্ছেন তাঁরা। এই কথাগুলো যদি মানুষকে কিছুটা ভাবাতে পারে, তাহলেই উদ্যোগ সফল হবে বলে মনে করছেন উদ্যোক্তারা।

‘চক অফ শেম’ নামে জনপ্রিয় এই উদ্যোগের আগে তাঁরা বেশ কয়েক বছর রাস্তা পরিষ্কার করার কাজ করেছেন। কিন্তু তাতে মানুষ সচেতন হননি। তাই অবশেষে বেছে নিয়েছেন এই অভিনব উদ্যোগ। পাশাপাশি এই করোনা পরিস্থিতিতে সিগারেটের ফিল্টার আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। যেকোনো মুহূর্তে এই ফিল্টার থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাস। মানুষ ইচ্ছা হলে সিগারেট খেতেই পারেন, কিন্তু তার জন্য যেন পরিবেশ বিপন্ন না হয়। এটুকুই আবেদন যুবক-যুবতীদের। সিগারেট খান, তবে নিজের ঘরের মধ্যে।

Powered by Froala Editor