ক্যানসার গবেষণায় যুগান্তকারী পদক্ষেপ, প্রথমবার ব্যবহৃত ৩-ডি মডেল

ক্যানসার, মানুষের কাছে এক ভয়াবহ আতঙ্কের নাম। করোনা মহামারীর সময়ে দাঁড়িয়েও এই রোগের নাম শুনে শিউরে ওঠেন প্রত্যেকেই। আদৌ কি এর কোনো স্থায়ী চিকিৎসা সম্ভব? গবেষকরা অনেক নতুন নতুন পদ্ধতির কথা বললেও অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় তা বাস্তব ক্ষেত্রে কার্যকরী হচ্ছে না। তবে তার জন্য থেমে নেই গবেষণা। আর সেই সূত্রেই বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন নতুন কিছু সূত্র, ক্যান্সারের চিকিৎসায় যা যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটাতে পারে।

ক্যানসার বিষয়ে গবেষণায় এতদিন যে ত্রুটি থাকত, সেটাকেই প্রথমে চিহ্নিত করতে চেয়েছিলেন জোসেফ ক্যারারেস লিউকোমিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষক ডা. ম্যানেল এস্টেলার। তিনি এবং তাঁর দলের বাকি গবেষকরা মনে করেন, এতদিন গবেষণার ক্ষেত্রে যে মডেল ব্যবহার করা হতো সেটাই ত্রুটিপূর্ণ। দ্বিমাত্রিক মডেলে ক্যানসার সেলের এক ধরনের চরিত্র দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবের ত্রিমাত্রিক স্তরে বৃদ্ধি পাওয়া কোষের সঙ্গে তার চরিত্র অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মেলে না। তাই এক্ষেত্রে গবেষকরা তৈরি করলেন একটি ৩-ডি মডেল। বিজ্ঞানের ভাষায় যাকে বলা হয় অর্গ্যানয়েড মডেল। ক্যানসার গবেষণার ইতিহাসে এমন মডেল নিয়ে কাজ এই প্রথম।

ইতিমধ্যে এই গবেষণার সূত্রে ক্যান্সার সেলের বেশ কিছু নতুন চরিত্রের কথা জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। খতিয়ে দেখা হচ্ছে ডিএনএর এপিজেনেটিক চরিত্রও। আর এর ফলে যে নতুন কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কার হতে চলেছে, এমন আশা করাই যায়। তবে কি ক্যানসারের মতো ভয়ঙ্কর রোগের স্থায়ী চিকিৎসা এবার সম্ভব হবে? প্রায় ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে যে বিষয়ে গবেষণা চলছে, তা যদি সফল হয় তাহলে মৃত্যুর দুঃস্বপ্ন ভুলে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখবেন অনেকেই।