মোহনবাগানের নামের আগে জুড়ল 'এটিকে'; অপরিবর্তিত লোগো ও জার্সির রং

বাঙালির সব খেলার সেরা ফুটবল, আর তাকে ঘিরে একঝাঁক নস্টালজিয়া। এই নস্টালজিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে আছে দুটি দলের জার্সির রং। একটা লাল-হলুদ আর একটা সবুজ-মেরুন। কত আড্ডা, তর্ক, ভালোবাসা ঘিরে আছে। বাংলার প্রথম ফুটবল দল মোহনবাগানকে চিনতে গেলে চিনতে হয় সবুজ-মেরুন রং আর পালতোলা নৌকো দিয়েই।

তবে কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল অনেক নস্টালজিয়ার মতোই বিদায় নিতে চলেছে এই সবুজ-মেরুন জার্সিও। এমনকি দলের লোগোতে পালতোলা নৌকাও বদলে যাবে বলে শোনা যাচ্ছিল। কারণ দলটি যে আর শুধু মোহনবাগান নয়। এখন তার নাম এটিকে-মোহনবাগান। এই দুই ক্লাব মিলিত হওয়ায় কি আদৌ অক্ষুণ্ণ থাকবে নস্টালজিয়া? অনেক মোহনবাগান অনুরাগীই প্রশ্ন তুলেছিলেন এটা নিয়ে। আর তাই প্রত্যেকের চোখ ছিল আজ, ১০ জুলাইয়ের বোর্ড মিটিং-এর দিকে। কারণ আজই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল আগামী আইএসএল সিরিজে কী নামে খেলবে দল। লোগো এবং জার্সির রঙই বা কী হবে।

তবে মিটিং শেষের তথ্য অনুযায়ী মোহনবাগান অনুরাগীদের আবেগ অনেকটাই ধরে রাখতে পেরেছেন সৃঞ্জয় বসু এবং দেবাশিষ দত্তরা। ঠিক হয়েছে, আগামী সিরিজে এটিকে-মোহনবাগান নামেই খেলবে দল। কিন্তু তার লোগোতে পালতোলা নৌকা অপরিবর্তিত থাকবে। অপরিবর্তিত থাকবে জার্সির সবুজ-মেরুন রঙও। সৃঞ্জয় বসুর কথায়, এই লোগো আর জার্সির রঙ ১৩১ বছরের ঐতিহ্য আর মর্যাদাকে ধরে আছে। এই রঙ দেখেই খেলার দর্শকরা বুঝবেন, সেই পুরনো দলই আবার মাঠ কাঁপাতে নেমেছে।

অন্যদিকে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে খুশি এটিকে কর্তারাও। কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা এবং সহ-কর্ণধার সৌরভ গাঙ্গুলি এই দুই দলের গাঁটছড়া বাঁধাকে স্বাগত জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে জানিয়েছেন, আগামী দিনে বাঙালির ফুটবলকে আরও উন্নত করে তুলতে চেষ্টা চালিয়ে যাবেন তাঁরা। তৈরি করা হবে বিশ্বমানের ফুলবল অ্যাকাডেমিও। আর এই নতুন পথচলা শুরু হবে মোহনবাগানের এতদিনের অসংখ্য কৃতী ফুটবলারের আশীর্বাদ নিয়েই। তাই নতুনত্বের সঙ্গে ঐতিহ্যের মেলবন্ধনই এখন দলের প্রধান লক্ষ্য।

আরও পড়ুন
১৩০ বছরের ভালোবাসা-সমর্থন, ‘ভারতসেরা’ মোহনবাগান ও কলকাতার নতুন বসন্ত

Powered by Froala Editor