পাওয়া যাচ্ছে নতুন নতুন তথ্য, বদলে যাচ্ছে মানুষের আদিম ইতিহাস

স্কুল কলেজে ইতিহাস বই খুললেই প্রথমেই পড়তে হত মানুষের ইতিহাস। এতদিন ধরে বিজ্ঞানী ও ইতিহাসবিদরা পরিশ্রম করে তৈরি করেছিলেন আমাদের পূর্বজদের কাহিনি। কিন্তু ওই যে বলে না, ইতিহাস কথা বলে। বিজ্ঞানীদের গবেষণা ও সমীক্ষা বলছে, সাম্প্রতিক সময় পাওয়া নিদর্শনগুলির সংখ্যা অন্যান্য সময়ের থেকে অনেকটাই বেশি। শুধু তাই নয়, সেগুলি মানুষের ইতিহাসকেও নতুন করে ভাবাতে বাধ্য করছে।

উদাহরণ হিসেবে উঠে আসবে হোমো সেপিয়েন্সের উদ্ভবের কথা। গবেষণা ও প্রাপ্ত ফসিলের বিশ্লেষণ অনুযায়ী মনে করা হত, আজ থেকে আনুমানিক দুই লক্ষ বছর আগে আফ্রিকায় হোমো সেপিয়েন্সের উদ্ভব ও বিবর্তন হয়েছিল। কিন্তু এখন এই পুরো ধারণা এক ধাক্কায় বদলে দিয়েছে একটি ঘটনা। ২০১৭-তে মরক্কোয় বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন আরও একটি ফসিল। বিশ্লেষণের পর দেখা গেল, সেটি একটি হোমো সেপিয়েন্স প্রজাতির মানুষের ফসিল, এবং এর অস্তিত্ব ছিল আনুমানিক তিন লক্ষ বছর আগে! সমস্ত ইতিহাস, গবেষণা, হিসেব এক লহমায় বদলে দিয়েছিল এই একটি খোঁজ।

তবে শুধুমাত্র এই একটি ঘটনাই নয়। একবিংশ শতাব্দী প্রাচীন ইতিহাসের গবেষণার জন্য এখনও অবধি অত্যন্ত ফলপ্রসূ যত দিন যাচ্ছে, প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই নতুন নতুন তথ্য হাতে আসছে আমাদের। সেখানে যেমন আদিম মানবের সম্পূর্ণ জিনোম তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে, তেমনই পাওয়া যাচ্ছে নতুন মানব প্রজাতির সন্ধান। মাটির নীচে আরও কত ইতিহাস যে এইভাবে লুকিয়ে আছে, সেই নিয়েই ধন্দে ঐতিহাসিকরা। ইতিহাস এইভাবেই তৈরি হয়, আবার বদলেও যায় নিজের মতন। শেষ অবধি সত্যকে খুঁজে চলাই আমাদের কাজ।