শান্তি পুরস্কার পাচ্ছেন অমর্ত্য সেন, ঘোষণা জার্মান বুক ট্রেড সংস্থার

গর্ব করার মতো মানুষ ভারতে খুব কম জন্মাননি। তবে সেই তালিকায় অমর্ত্য সেনের নামটা যে একেবারেই উপরের দিকে থাকবে, সেটা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। শুধুই নোবেল পুরস্কার লাভ নয়, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির আন্তর্জাতিক ন্যায়াধিকারের লড়াইতে তাঁর অবদান ভোলার নয়। উন্নয়নশীল দেশগুলির অর্থনীতির বিকাশে অমর্ত্য সেনের নির্দেশ আজও অপরিহার্য। নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদের প্রাপ্তির তালিকায় সম্প্রতি যুক্ত হতে চলেছে আরও একটি রত্ন। আগামী অক্টোবরে জার্মান বুক ট্রেড সংস্থার তরফ থেকে শান্তি পুরস্কার পেতে চলেছেন তিনি।

১৯৬০ সালে কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি লাভ করার পর থেকে বিশ্বের নানা বিখ্যাত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন তিনি। দিল্লি স্কুল অফ ইকোনমিকস থেকে স্ট্যানফোর্ড, বার্কলে, অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ সমস্ত জায়গাতেই অধ্যাপনা করেছেন তিনি। ২০০৪ সাল থেকে তিনি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি ও দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে আসীন। ৮৬ বছর বয়সে এখনও প্রতিটি লেকচার দিয়ে যান একভাবে দাঁড়িয়ে। বার্ধক্যের কোনো ছাপ ছুঁতে পারেনি তাঁকে।

১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার এবং পরের বছর ভারতরত্ন বাঙালি অর্থনীতিবিদের জীবনের দুই উজ্জ্বল প্রাপ্তি। এছাড়াও সেই ভাণ্ডারে আছে আরও অনেক রত্ন। সমাজবিজ্ঞানে তাঁর অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে পেয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিটিজ মেডেল, আইএইচইইউ ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যানিস্ট অ্যাওয়ার্ড এবং আরও অনেক উল্লেখযোগ্য সম্মান। আর বুধবার জার্মান বুক ট্রেড সংস্থার ঘোষণা অনুযায়ী সেই তালিকায় যুক্ত হতে চলেছে আরও একটি শান্তি পুরস্কার। 

প্রথা অনুযায়ী ১৯৫০ সাল থেকে ফ্রাংকফ্রুট বুক ফেস্টিভ্যালে অনুষ্ঠিত হয় এই পুরস্কার বিতরণ সভা। তবে এবারে করোনা সংক্রমণের কারণে সেই রীতিতে খানিকটা অদলবদল হতে পারে। পাশাপাশি অমর্ত্য সেনের কাজ বর্তমান সময়ে আরও বেশি করে প্রাসঙ্গিক বলে উল্লেখ করেছেন সংস্থার কর্ণধাররা। সারা পৃথিবীজুড়েই এখন আন্তর্জাতিক ন্যায় ও সমানাধিকার বিশেষ আলোচনার বিষয়। কালো চামড়ার মানুষদের সামাজিক স্বীকৃতির কথাও উঠে আসছে নানা স্তর থেকে। এই সময় অধ্যাপক সেনের ভাবনাচিন্তা বিশ্বকে পথ দেখাতে পারে বলেই মনে করছেন জার্মান বুক ট্রেড সংস্থা।

আরও পড়ুন
নোবেল ও অস্কারজয়ীদের নামে পার্ক, নতুনভাবে সেজে উঠছে তিলোত্তমা

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
বিচ্ছেদের পরেও, জন্মদিনের লেখায় অমর্ত্যকে নবনীতা বলছেন - 'Treat this article as flowers...'