কলম্বাসের বহু আগে, ১২৯২ খ্রিস্টপূর্বাব্দেই আমেরিকা আবিষ্কার করেছিলেন মিশরীয়রা

সময়টা খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতক। তখনই গ্রিক ইতিহাসের জনক হেরোডোটাসের বর্ণনায় জানা যায় ইউরোপের সভ্য মানুষদের থেকে সমুদ্রকে অনেক ভালোভাবে চেনেন মিশরের ফ্যারাওরা। নৌচালনার অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞানও তাঁদের জানা। কিন্তু সেসব কথা আর পরবর্তীকালে মনে রাখেননি কেউই। আর তাই বোধহয় ইতিহাসের মূল ধারাটা অনেকটাই হয়ে দাঁড়িয়েছে ইউরোপ কেন্দ্রিক। ঠিক যেমন আমরা জানি আমেরিকা মহাদেশ আবিষ্কার করেছেন ক্রিস্টোফার কলম্বাস। হ্যাঁ ইউরোপীয়দের মধ্যে অবশ্য তিনিই প্রথম আমেরিকার ভূখণ্ডে পা রেখেছিলেন। কিন্তু তার বহু আগে থেকেই আফ্রিকার মানুষ দলে দলে পাড়ি দিয়েছেন আমেরিকার উদ্দেশ্যে।

মেক্সিকোর প্রাচীন ইতিহাসের কথা বললেই মনে পড়ে মায়া, ইনকা বা অ্যাজটেক সভ্যতার কথা। কিন্তু এছাড়াও আরেক সমৃদ্ধশালী সভ্যতা ছিল উত্তর আমেরিকার বুকে। তার নাম অল্মেক সভ্যতা। ১৯৪০-এর দশকে একাধিক খননকার্যের ফলে উঠে আসে সেই সভ্যতার অজানা তথ্য। আর আশ্চর্যের বিষয়, এই সভ্যতার সঙ্গে অদ্ভুত মিল পাওয়া যায় মিশরের সভ্যতার। এমনকি ধর্মে, বিশ্বাসে সবেতেই যথেষ্ট মিল। আবার মিশরের মতোই সমাধির উপর পিরামিডাকৃতি একটা কাঠামোও লক্ষ করা যায়। তবে অনেক সময় আবার পিরামিডের বদলে মৃত মানুষের মুখের প্রতিকৃতিও দেখা যায়।

এই রহস্যের বীজ লুকিয়ে আছে ১২৯২ খ্রিস্টপূর্বাব্দের একটি ঘটনায়। মিশরের ফ্যারাও তৃতীয় রামাসেস বেরিয়েছিলেন সমুদ্রযাত্রার উদ্দেশ্যে। আর ঘুরতে ঘুরতে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে। ১৪৯২ সালে কলম্বাসের সমুদ্রযাত্রা শুরুর বহু আগের ঘটনা সেটা। অবশ্য এর পরেও অন্তত ৩টি জাহাজ আফ্রিকা থেকে আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল। স্থানীয় সাহিত্যে তার কিছু কিছু নমুনা জানা গেলেও অবশ্য ইতিহাসে স্পষ্ট কোনো তথ্যই জানা যায় না। তবে বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির রথের কাণ্ডারী যে ইউরপের মানুষ নয়, তার এমন অনেক উদাহরণই ছড়িয়ে আছে নানা দিকে। কিন্তু আমরা তার কতটুকুই বা খেয়াল রাখি?

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
একাধিক নামে পরিচিত ছিলেন ক্রিস্টোফার কলম্বাস? ইতিহাস ঘিরে ঘনীভূত রহস্য