দেশের মোট করোনা-আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মীদের ৭৪ শতাংশই ৬টি রাজ্য থেকে, ক্ষুব্ধ চিকিৎসকরা

পৃথিবীজুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে এখন মানুষের মধ্যে একমাত্র আশা-ভরসার জায়গা চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। নিজেদের জীবন বিপন্ন করেও মানুষের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের জীবন নিয়ে কি আদৌ চিন্তিত আমরা? বিশেষ করে ভারতে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে বাস্তব পরিস্থিতি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। আর স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুর তালিকাতেও শীর্ষ স্থানে যথারীতি মহারাষ্ট্র। আর এর পরেই আছে কর্ণাটক, তামিলনাড়ু, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ এবং গুজরাট।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান বলছে সারা দেশে করোনা আক্রান্ত সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীর মধ্যে ৭৪ শতাংশই এই ৬ রাজ্যের। এবং মৃতের পরিসংখ্যানেও হিসাবটা দাঁড়ায় প্রায় ৮৬ শতাংশ। যদিও মহারাষ্ট্রের একক হিসাবই বাকিদের থেকে অনেকটা বেশি। কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সমস্ত দেশজুড়েই। অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রেই হাসপাতালের জিওন্য উপযুক্ত পরিকাঠামো প্রদান করতে ব্যর্থ সরকার। হাসপাতাল পরিসরে যেখানে সুরক্ষার ব্যবস্থা সবচেয়ে বেশি রাখা উচিৎ, সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার মতোও পরিস্থিতি নেই।

মহারাষ্ট্রে এখনও অবধি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে প্রায় সাড়ে ৭ লাখ করোনা আক্রান্তের মধ্যে ১ লাখই স্বাস্থ্যকর্মী। অন্যদিকে কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুতে সংখ্যাটা অনেক কম হলেও দুই রাজ্যেই ১০ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত। স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুর নিরিখেও প্রথম সারিতে এই তিন রাজ্য। প্রশাসনিক এবং অর্থনৈতিক উভয় দিক থেকেই দেশের মধ্যে যথেষ্ট এগিয়ে থাকা রাজ্যের এমন অবস্থায় ক্ষুব্ধ অনেকেই। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, শুধুই মৌখিক সংহতি তাঁরা চান না। চান চিকিৎসার উপযুক্ত পরিকাঠামো। আর এই কাজে সরকারের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের কাছেও সহযোগিতা দাবি করছেন তাঁরা। এই কঠিন পরিস্থিতিতে হাতে হাত রেখে এগিয়ে যাওয়ার কোনো রাস্তাই কি আমরা রাখবো না?

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
করোনা ও লকডাউনের আবহে, রাজ্যের কৃষিব্যবস্থার হাল ঠিক কেমন?