মাত্র ৬ বছরেই গবেষণাপত্রে উঠল নাম, পৃথিবীর নজর এখন ছোট্ট গ্রেসের দিকে

বিজ্ঞানী বললেই আমাদের মাথায় আসে একমাথা উস্কোখুস্কো চুলের এক বয়স্ক মানুষ। অথবা বড়জোর একজন যুবক বা যুবতী। গভীর অধ্যবসায়ে যে সন্ধান করে চলেছে নতুন নতুন তথ্য। অথচ প্রকৃতির সমস্ত রহস্যের প্রতি যে শিশুদের আগ্রহই থাকে সবচেয়ে বেশি, সেকথা আমরা সবসময় মনে রাখি না। কিন্তু আপনাকে যদি বলা হয় একটি ৬ বছর বয়সী বিজ্ঞান-গবেষক বলে কথা! অবাক হবেন নিশ্চই? অবাক করা হলেও সত্যি, বিজ্ঞানের ইতিহাসে রেকর্ড তৈরি করে ফেলেছে এই ক্ষুদে বিজ্ঞান-গবেষক। মাত্র ৬ বছর বয়সেই সে একটি গবেষণাপত্রের লেখকের তালিকায় নাম তুলে ফেলেছে।

ক্যুইনসল্যান্ড ইউনিভার্সিটির একজন অরনিথলজিস্ট গ্রাহাম ফুলটন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নানা প্রজাতির পেঁচার উপর গবেষণা চালাচ্ছেন। এর মধ্যেই বেড়ে উঠছিল তাঁর মেয়ে গ্রেস ফুলটন। বাবার সঙ্গে থাকতে থাকতেই পেঁচাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে যায় ছোট্ট গ্রেসের। এমনকি তাদের ডাক হুবহু নকল করতে পারে সে। এর মধ্যে গ্রাহাম যখন তাঁর বিগত গবেষণার কাজটি করছিলেন, তখন বাবার সঙ্গেই ফিল্ড ওয়ার্কে চলে যায় গ্রেস। গবেষণার সময় সে নানাভাবে সাহায্যও করে গ্রাহামকে। তাঁর নানা ভুল ধরিয়ে দেয় ছোট্ট মেয়েটি। আর তার ফলে গবেষণাপত্রের উপর যে তারও সমান অধিকার জন্মায়, একথা মানতেই হবে।

কিছুদিন আগে পেসিফিক কনসারভেশন বায়োলজি পত্রিকায় প্রকাশিত হয় গ্রাহামের গবেষণাপত্র। সেইসঙ্গে প্রবন্ধের সহযোগিতার তালিকায় নাম করে নেয় ৬ বছরের ছোট্ট গ্রেস। এমন ঘটনা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সত্যিই বিরল। ৬ বছরের ক্ষুদে বিজ্ঞান-গবেষককে দেখতে আগ্রহী অনেকেই। গ্রেসও তাদের যথাসম্ভব সহজভাবে বুঝিয়ে দিতে থাকে গবেষণার প্রতিপাদ্য। আসলে বিজ্ঞানের যুগান্তকারী নানা আবিষ্কারের পিছনে সবসময়ই লুকিয়ে থাকে শৈশবের অনুসন্ধানী মন। কখনও সেই জগৎ প্রকাশ পায়। আর তখনই আশ্চর্য হয়ে ওঠেন সবাই। গ্রেস ফুলটন তেমনই একজন স্বাভাবিক আশ্চর্য।