পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে ক্রমশ জোরালো হচ্ছে নারীদের লড়াই। বছরের পর বছর ধরে পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে নানা বিধিনিষেধ। কিন্তু যুগ পাল্টেছে, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নারী শিক্ষার হার। আর যে কোনো সুস্থ স্বাভাবিক সমাজ গড়ে তোলার পেছনে মানুষের শিক্ষার হারকেই দায়ী করা হয় চিরকাল। সময় এসেছে বদলানোর, তাই জীবন পাল্টাতে হরিয়ানার মহিলারা এবার নতুন লড়াইয়ে সামিল হয়েছে।
লিঙ্গ সমতাকে সামনে রেখে হরিয়ানার এই মহিলাদের লড়াই পুরুষতান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে। বহু বছর ধরেই উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের নারীদের ঘোমটা দেওয়াকেই সমর্থন জানিয়েছে পুরুষজাতি। কিন্তু আর নয়, কারোর চাপিয়ে দেওয়া নিয়মকে বয়ে বেড়াতে নারাজ সেখানকার নারীরা। ঘোমটা না পরার বিরুদ্ধে এই লড়াই প্রথম শুরু করেছিলেন মঞ্জু যাদব নামের এক স্কুল শিক্ষিকা।
তবে এ-লড়াই কেবল হিন্দু ধর্মের নারীদের নয়, অনান্য ধর্মের নারীরাও সামিল হয়েছেন এ-লড়াইয়ে। ঘোমটা না পরার আড়ালে আসলে এ লড়াই পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বর্বরতার বিরুদ্ধে। ঘোমটা পরে থাকার অর্থ কারও কারও কাছে মুখ লুকিয়ে রাখা। আসলে ঘোমটায় মুখ লুকিয়ে রাখার পেছনে যে সমাজের এক কলুষিত দিক ফুটে ওঠে তা বোঝার ক্ষমতা নেই বহু পুরুষের।
মঞ্জু দেবী ইতিমধ্যে সাতচল্লিশটি গ্রামের মানুষজনকে তাঁর লড়াইয়ে পাশে পেয়েছেন। এই লড়াইয়ে উৎসাহ প্রদান করেছেন সেখানকার জেলা শাসক চন্দ্র শেখর বাবুও। শুধু মাত্র নারীরাই নয়, এ-লড়াইয়ে একে একে যোগদান করছেন পুরুষরাও।
ইতিমধ্যে ঘোমটা সরিয়েছেন বহু নারী। পৃথিবীর সামনে নিজেদের মুখকে ফুলের মতো বিকশিত করতে চান তাঁরা। তাঁদের এ-লড়াই সফল হোক।