জেলা আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর, নেওয়া হল একাধিক পদক্ষেপ

করোনা নিয়ে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে রয়েছে দেশ। থেমে নেই পশ্চিমবঙ্গও। যত দিন যাচ্ছে, ভয়ের পারদ চড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে সমস্ত জেলার আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আলোচনায় বসলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক কী কী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে এল সেখানে, একবার দেখে নেওয়া যাক—

আরও পড়ুন
অস্থায়ী হাসপাতালের পরিকল্পনা, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি ব্যবহারের প্রস্তাব সরকারকে

১) প্রস্তাবনা অনুযায়ী টেকনো এবং অ্যাডামাস বিশ্ববিদ্যালয়কে কোয়ারান্টাইন সেন্টার করা হল।
২) চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের বিমা ৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ করা হল।
৩) প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে যাতে অল্প হলেও বেডের বন্দোবস্ত থাকে, সেটার দায়িত্ব জেলাশাসকদের দেওয়া হল।
৪) এই পরিস্থিতিতে প্রত্যেকে যাতে খাবার, ওষুধ পায়, সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে।
৫) সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর জন্য অতিরিক্ত অফিসার নিয়োগ করা হল যাতে সমস্ত দিকে সঠিক পর্যবেক্ষণ হয়।
৬) যে বিমা এতদিন সরকারি চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য ছিল, সেটা এবার বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরাও পাবেন। শুধু তাই নয়, ক্যুরিয়র কর্মী থেকে শুরু আয়া, অ্যাম্বুলেন্স কর্মী, সাফাই কর্মী, পুলিশ— যারাই এই বিপদের দিনে সব স্বাভাবিক রাখার জন্য কাজ করছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই এর আওতায় রাখা হল।
৭) বেসরকারি হাসপাতালগুলোয় করোনা সেন্টার খোলা হল।
৮) শুধু করোনা চিকিৎসার জন্য ২২ জেলাতেই বিশেষ হাসপাতাল তৈরি করার পরিকল্পনা ঘোষণা করা হল।
৯) কড়াকড়ি করতে গিয়ে যেন কোনো পুলিশকর্মীই কঠোর পদক্ষেপ না নেন, সেই ব্যবস্থার কথা বলা হল।
১০) পরবর্তী দুই সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় যাতে সামান্যতম ভুলও না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী। কোনোরকম অসুবিধা হলে সরকারি আধিকারিককে জিজ্ঞাসা করতে পারেন মানুষ। এছাড়াও হেল্পলাইন নম্বরেও যোগাযোগ করতে পারেন।

আরও পড়ুন
করোনা-আক্রান্তের মৃত্যু হলে শেষকৃত্য ধাপায়, নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত প্রশাসনের

করোনা বিপর্যয়ের সময় মুখ্যমন্ত্রীর এমন পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। অল্প করে হলেও, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশই। গোটা দেশে হাজার পেরিয়ে গেছে এই অঙ্কটি। এমন পরিস্থিতিতে চিকিৎসার পরিকাঠামো বাড়ানোর লক্ষ্যেই নজর রাজ্য সরকারের। প্রত্যেকে যাতে সময়মতো সুবিধা পান, সেটাই প্রধান বিষয়। এবং মুখ্যমন্ত্রীর কথার রেশ টেনে বলাই যায়, আগামী দুই সপ্তাহ অত্যন্ত সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতা ছাড়া গতি নেই আর…

More From Author See More