চিকিৎসকই ‘আচার্য’, দীর্ঘ বিরতির পর শান্তিনিকেতনে শুরু হল উপাসনা

লকডাউনে সব কিছু বন্ধ থাকার পর আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হচ্ছে পরিস্থিতি। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এতদিন বন্ধ ছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ও। এবার সেখানেও ছন্দ ফিরছে একটু একটু করে। সেই সূত্রেই দীর্ঘ বিরতির পর শুরু হল উপাসনা, যা বিশ্বভারতীর চিরন্তন একটি ঐতিহ্য। সেই উপাসনাতেই ‘আচার্য’ হিসেবে জায়গা করে নিলেন চিকিৎসকরা।

লকডাউনের কারণে শান্তিনিকেতন ও বিশ্বভারতীর পঠনপাঠন সম্পূর্ণ বন্ধ তো ছিলই। সেইসঙ্গে এই বছরের দোল উৎসব, ২৫শে বৈশাখের সমাবেশ, উপাসনাও বন্ধ ছিল। সব মিলিয়ে চিরন্তন ঐতিহ্যের ধারা রুখে দিয়েছিল করোনা ভাইরাস। তবে সেসব সরিয়ে একটু একটু করে ছন্দে ফেরার চেষ্টা চলছে সেখানে। আর তাই ব্রহ্ম উপাসনার মাধ্যমেই সেই শুরুটা করলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

১২ মার্চের পর আবারও গতকাল অর্থাৎ বুধবার খোলা হল বিশ্বভারতীর উপাসনা গৃহ বা কাচ মন্দির। প্রতিটি উপাসনাতেই একজন করে আচার্য থাকেন। এদিন সেই জায়গায় থাকেন চিকিৎসক অনির্বাণ দাশগুপ্ত। করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসকরা দিন-রাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন। এখনও থেমে নেই তাঁরা। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিনের উপাসনাতেও বজায় থাকল সোশ্যাল ডিসটেনসিং, মাস্ক আর স্যানিটাইজার। দিনের শেষে সবাই একসঙ্গে হয়ে ‘মারের সাগর পাড়ি দেওয়া’র শপথই নিলেন। যাতে আগামী দিনগুলো জীবনের আনন্দে উদযাপন করা হয়। 

একইসঙ্গে বিশ্বভারতীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমস্ত বিধি নিষেধ মেনে ধীরে ধীরে পাঠক্রমও শুরু করতে চান তাঁরা। সেই মর্মে সমস্ত ছাত্রছাত্রীকে ১ জুলাইয়ের মধ্যে ফিরে আসার জন্য বলা হয়েছে। 

Powered by Froala Editor