১৯৬৬-তেই মৃত বিটলসের পল ম্যাক-কার্টনি, তাঁর হয়ে বেঁচে আছেন অন্য কেউ!

'মে বি আই অ্যাম অ্যামেজড', যে গানের সুরে বুঁদ হয়ে ছিল ইউরোপ তো বটেই, সারা পৃথিবী; কে লিখেছিলেন সেই গান? উত্তর তো সহজ। পল ম্যাক-কার্টনি। কিন্তু যদি বলা হয়, এই গান তিনি লেখেননি। বিটলসের একাধিক অ্যালবামের কভারে যাঁকে দেখা যায়, তিনি পল নন। পলের কোনো সন্তান জন্মায়নি। এমনকি রানি এলিজাবেথের হাত থেকে নাইট উপাধি নিয়েছিলেন যিনি, তিনিও পল নন, অন্য কেউ। পল এসবের অনেক আগেই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে চলে গিয়েছেন। চমকে গেলেন, তাই না? কিন্তু অনেক শ্রোতা এমনটাই বিশ্বাস করেন। পল ম্যাক-কার্টনির মৃত্যুকে ঘিরে তাই গভীর রহস্যের বুনট।

ঘটনাটা ঘটেছিল ১৯৬৬ সালে। 'ইয়েস্টারডে অ্যান্ড টুডে' অ্যালবামটি মুক্তি পাওয়ার পর। অ্যালবামটি অচিরেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এবং সেই সাফল্যকে স্মরণীয় করে রাখতে একদিন ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন ব্যান্ডের সদস্যরা। সেখানেই ঘটে দুর্ঘটনা। সেদিন সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন পল ম্যাক-কার্টনি। এমন সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেকেই। তবে সেই বিশ্বাসের কোনো স্বীকৃতি নেই। এরপর অনেক অ্যালবামেই পলকে দেখা গিয়েছে। সেই পল বিবাহ করেছেন। চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। একাধিক একক অ্যালবামও বেরিয়েছে তাঁর নামে। ১৯৯৭ সালে মহারানির কাছ থেকে নাইট উপাধি পেয়েছেন। আর সমস্ত বিতর্ককে উস্কে দিয়ে ১৯৯৮ সালেই একটি লাইভ কনসার্টের নাম দিলেন, 'পল ইজ লাইভ'। ততদিনে প্রায় প্রবাদে পরিণত হয়েছে 'পল ইজ ডেড'।

পলের মৃত্যুর কোনো প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই। কিন্তু ব্যান্ডের একাধিক অ্যালবামে ছড়িয়ে আছে অসংখ্য সংকেত। 'ট্যাক্সম্যান' হোক বা 'আ ডে ইন দ্য লাইফ', অসংখ্য সংকেতে নাকি তাঁর বন্ধুরা বুঝিয়ে দিয়েছেন পল আর নেই। এমনকি একটি সাক্ষাৎকারে জন লেননও এমন একটি সংকেত দিয়েছিলেন বলে মনে করেন অনেকে। কিন্তু তাহলে পরবর্তী কয়েক দশক ধরে পলের ভূমিকায় যিনি অভিনয় করে গেলেন, তিনি কে? অনেকে বলেন তাঁর নাম বিলি শিয়ার্স। হুবহু পলের মতোই দেখতে তিনি। কিন্তু তিনি পল নন।

আজ দীর্ঘ পাঁচ দশক পর এই রহস্যের সঠিক কিনারা করা হয়তো আর সম্ভব নয়। কোনোদিন জানা যাবে না, পল কি আদৌ বেঁচে ছিলেন? নাকি তাঁর চরিত্রে অভিনয় করে গিয়েছেন বিলি শিয়ার্স নামের কেউ। একাধিক জনপ্রিয় গানের জন্ম দিয়েও যিনি নিজের স্বীকৃতি দাবি করেননি। কোনোদিন মিলবে না উত্তর। শুধু কিংবদন্তি হয়ে থাকবে, 'পল ইজ ডেড'।

Powered by Froala Editor