৩২ বার অস্কার জিতেছেন ওয়াল্ট ডিজনি!

আজও সারাবিশ্বের শিশুদের মন মাতায় তাঁর সৃষ্ট চরিত্ররা। তাঁর হাতে গড়া স্টুডিও এখন হলিউডের একনম্বর ফ্র্যাঞ্চাইজি। আধুনিক অ্যানিমেশনের পথিকৃৎ তিনি। ওয়াল্ট ডিজনি (Walt Disney)।  মিকি মাউজ, ডোনাল্ড ডাক, আংকেল স্ক্রুজের স্রষ্টা। ব্যক্তিগত জীবনের বিতর্ক, রাজনৈতিক নানা তর্জা ব্যতিরেকে তাঁর কাজ আজও শাশ্বত। চিরন্তন। তবে তাঁর আরো একটি রেকর্ড রয়েছে। এখনো পর্যন্ত তিনি সবথেকে বেশি অস্কারের (Oscar) অধিকারী। অস্কার - হলিউডি সিনেমা জগতের সর্বোচ্চ সম্মান। আর ১৯৩১-১৯৬৯ সালের মধ্যে ডিজনি সেই সম্মান পেয়েছেন ৩২ বার! এবং অস্কারের জন্যে মনোনীত হবার দৌড়েও তিনি শীর্ষে। মোট ৫৯ বার মনোনীত হয়েছেন, অ্যানিমেশনের জনক। 

ডিজনির হাতে প্রথমবার অস্কার উঠে আসে, ১৯৩২ সালে। শুরুতেই জোড়া অস্কার।  মিকি মাউজ সৃষ্টির জন্য একটি, এবং বেস্ট শর্ট সাবজেক্ট ফিল্ম ক্যাটাগরিতে ‘ফ্লাওয়ার্স অ্যানড ট্রিজ’ ছবির জন্য অন্যটি। এরপর টানা ৭ বছর একই ক্যাটাগরিতে অস্কার ছিল তাঁর দখলে। ১৯৩৯ সাল থেকে ১৯৪২ সালে আরো তিনটি সাম্মানিক অস্কার পেয়েছিলেন ডিজনি। কিন্তু ১৯৫৪ সালে তিনি চারটি ক্যাটাগরিতে মনোনীত হয়ে চার-চারটি অস্কারই দখল করেন। বেস্ট শর্ট সাবজেক্ট (কার্টুন), বেস্ট শর্ট সাবজেক্ট (টু রিল), বেস্ট ডকুমেন্টারি (ফিচার) এবং বেস্ট ডকুমেন্টারি( শর্ট সাব্জেক্ট)। তবে মূলত শর্ট ক্যাটাগরিতে একছত্র আধিপত্য ফলালেও জীবদ্দশায়, ফিচার ফিল্মের জন্য কেবলমাত্র একবারই নমিনেশন পান ওয়াল্ট। ১৯৬৫ সালে জুলি অ্যান্ড্রিউজ, ডিক ভ্যান ডাইক অভিনীত ‘মেরি পপিন্স’ সিনেমাটির জন্য। ছবিটি নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। ‘মেরি পপিন্সে’র মূল লেখিকা প্যামেলা ট্রাভার্সের সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ডিজনি। তাঁদের এই টালমাটাল সম্পর্ক অবলম্বনে টম হ্যাংকস অভিনীত ‘সেভিং মিস্টার ব্যাংক্স’ আজও সমাদৃত।…

ডিজনি শেষ অস্কার দুটি পেয়েছিলেন মৃত্যুর পর। ১৯৬৯ সালে। ‘উইনি দ্য পুঃ’ এবং ‘ব্লাস্টারি ডে’ ছবিদুটির জন্য। তিনবছর আগে যদিও ক্যানসারে চলে গিয়েছিলেন তিনি। তবে পুরস্কার, স্বীকৃতি বা অর্থ একজন শিল্পীর প্রকৃত পরিচয় কি বহন করতে পারে? হয়তো না। ঋত্বিক বলেছিলেন, ‘দুনিয়ায় টাকা না থাকলেও কাজগুলো থেকে যাবে।’ ঠিক সেভাবেই মিকি-ডোনাল্ডের মধ্যে দিয়েই বেঁচে থাকবেন ওয়াল্ট। অস্কার সেখানে গৌণ বটেই।

Powered by Froala Editor