বিশ্বের ক্ষুদ্রতম স্যাটেলাইট তৈরি করে চমক তামিলনাড়ুর ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের

বিজ্ঞানের জগতে ভারতীয়দের কৃতিত্ব নতুন নয়। এবার সেই তালিকাতেই নাম তুলে নিলেন তামিলনাড়ুর যুবক এস রিয়াসদিন। শাস্ত্র ইউনিভার্সিটির মেকাট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র রিয়াসদিনের আবিষ্কার শুধু নতুন নয়, বিস্ময়করও বটে। মাত্র ৩৭ মিলিমিটারের ছোট্ট যন্ত্রই আকাশে ভেসে বেড়াতে পারবে অনায়াসে। সংগ্রহ করবে নানা মহাজাগতিক তথ্য। হ্যাঁ, এই ছোট্ট যন্ত্রই আসলে একটি স্যাটেলাইট।

সম্প্রতি নাসার উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছিল একটি প্রতিযোগিতা। পৃথিবীর ৭৩টি দেশ থেকে ১ হাজারের বেশি প্রতিযোগী নাম দিয়েছিল সেখানে। তবে সবাইকে টপকে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিলেন রিয়াসদিন। ভিশন স্যাট ভি-১ এবং ভি-২ নামে দুটি ফেমটো স্যাটেলাইট হাজির করেছিলেন তিনি। দুটি স্যাটেলাইটই বর্গাকার। প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ ৩৭ মিলিমিটার। থার্মোপ্লাস্টিক রেজিনের তৈরি এই স্যাটেলাইট দুটি তৈরি করতে তিনি ব্যবহার করেছেন ৩-ডি প্রিন্টিং টেকনোলজি।

চেন্নাইয়ের নিউট্রিনো অবজার্ভেটরির গবেষণাগারে বসে এই স্যাটেলাইট দুটি তৈরি করেছেন রিয়াসদিন। প্রতিটি স্যাটেলাইটে আছে ১১টি করে সেন্সর। মোট ১৭টি পার্সপেক্টিভ পর্যবেক্ষণ করতে পারবে এই স্যাটেলাইট দুটি। নাসার পক্ষ থেকে এই স্যাটেলাইট দুটি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী বছরের জুন মাসে নাসার রকেট লঞ্চের মাধ্যমে মহাকাশে নিয়ে যাওয়া হবে প্রথম স্যাটেলাইটটি। আর আগস্ট মাসের বেলুন মিশনে পৌঁছবে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট।

এস রিয়াসদিনের এই সাফল্যে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শাস্ত্র ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এস বিদ্যাসুব্রহ্মনিয়ম। সেইসঙ্গে রিয়াসদিন যদি এই প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যিক উদ্যোগ নিতে চায়, তাহলেও ইউনিভার্সিটির পক্ষ থেকে অর্থসাহায্য করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আর সেইসঙ্গে মহাকাশ গবেষণার জগতে আবারও ইতিহাস তৈরি করলেন এক ভারতীয় গবেষক।

Powered by Froala Editor