জোট-ঘোঁট-ভোট (৫) : জঙ্গার স্টিয়ারিং-এ রাজীব গান্ধী, গন্তব্য বাংলার গ্রাম

প্রধানমন্ত্রীর সহযাত্রী-দলে আমি একাই সাংবাদিক, যা কিছু দেখছি, যা কিছু শুনছি, তারপর সন্ধেবেলায় রিপোর্ট করছি, সবটাই আমার ‘এক্সক্লুসিভ’, একবারে যেন অরক্ষিত গোলে বলটা গড়িয়ে দেওয়া। এমন সুযোগ সাংবাদিক জীবনে আমি আর দ্বিতীয়বার পাইনি, সাধ্যমতো তার সদ্ব্যবহার করার চেষ্টাও করেছি। প্রধানমন্ত্রীর বাংলা সফরের ওই কভারেজ খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল, এমনকি ‘জ্যাকিদা’-ও আমার পিঠ চাপড়ে দিয়েছিলেন সম্পাদকের সঙ্গে দেখা করতে এসে। 

যতীন চক্রবর্তী, বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভার একদা সবচেয়ে বর্ণময় চরিত্র। গোড়ায় জ্যোতি বসুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল এই বিতর্কিত আর এস পি নেতার, পরে বেঙ্গল ল্যাম্প নিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়ে তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন।

রাজভবনের ওই সাড়া জাগানো বৈঠকের পরে তিনটে দিন রাজীব নিজে জঙ্গা চালিয়ে সড়ক পথে বাংলার এমুড়ো থেকে সেমুড়ো চরকি কেটেছিলেন। এমনিতেই সুপুরুষ রাজীব, দুধে-আলতা গায়ের রং, ভুবনমোহিনী হাসি দিয়েই শত্রুর মন জয় করতে পারতেন। দুধ-সাদা খদ্দর পরতেন, পায়ে লোটোর স্নিকার, চোখে বাহারি রোদ-চশমা। প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের যাত্রাপথ সুগম করতে রাস্তা ফাঁকা থাকত, রাজীব জঙ্গা ছোটাতেন বিদ্যুতের গতিতে। ভাই সঞ্জয়ের প্রিয় শখ ছিল এরোপ্লেন ওড়ানো, দাদার গাড়ি। কনভয়ে পিছনের সরকারি অ্যাম্বাসাডারগুলো সেই গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারত না, মাঝেমাঝেই প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি অদৃশ্য হয়ে যেত।

উত্তরবঙ্গে এইভাবে পথ চলতে চলতে একটি মজার ঘটনা ঘটেছিল। হঠাৎ আওয়াজ তুলে খুব জোরে ব্রেক কষে জঙ্গা থামিয়ে দিলেন রাজীব, দুর্ঘটনা এড়াতে অনেক সময় যা করতে হয়। শুনশান রাস্তায় তেমন কোনও সম্ভাবনা ছিল না অথচ প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি এভাবে আচম্বিতে থেমে যাওয়ায় পিছনের গাড়িগুলো প্রায় হুমড়ি খেয়ে পড়ল একে অন্যের ওপর, সামান্য চোট-আঘাতও পেলেন কেউ কেউ। রহস্যের কিনারা করতে এস পি জি কমান্ডোদের সঙ্গে আমিও দৌড় লাগালাম প্রধানমন্ত্রীর গাড়ির দিকে। সামনে, ডাইনে অথবা বাঁয়ে কিচ্ছুটি চোখে পড়লনা। অ্যাবাউট টার্ন করতেই দেখি এক প্রবীণ আমলা গাড়ি থেকে নেমে ধীর পায়ে রাস্তা পেরোচ্ছেন একটা খালি খাবারের প্যাকেট তোলার জন্য। ভদ্রলোকের কপাল খারাপ, জঙ্গার রিয়ার ভিউ আয়নায় রাজীব ভদ্রলোককে ওই খাবারের প্যাকেট ছুঁড়তে দেখেছিলেন। ব্যস, রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে রাজীব সিদ্ধান্ত নিলেন ভদ্রলোককে উচিত শিক্ষা দেবেন। গাড়ি থামিয়ে দিয়ে বার্তা পাঠালেন যিনি খাবারের প্যাকেট রাস্তায় ফলেছেন তাঁকেই সেটা কুড়িয়ে আনতে হবে। এত লোকের সামনে ভদ্রলোককে এভাবে অপদস্থ হতে দেখে আমার বেশ খারাপই লাগছিল। প্রধানমন্ত্রীর এমন বিচিত্র সিভিক সেন্স শেখানোর প্রয়াসকে আমি দেখলাম রাজীবের বেঙ্গল-সাফারির একটি মুখরোচক ডায়েরি আইটেম হিসেবেই। 

রাজীবের এই সফরের উদ্দেশ্য ছিল একটাই, গ্রাম বাংলা দেখা, গ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলা। কোথায় কখন কোন গ্রামে তিনি ঢুকে পড়বেন কেউ তা জানতোনা, স্থানীয় প্রশাসন তো নয়ই, যাতে তারা আগাম প্রস্তুতি নেওয়ার কোনো সুযোগই না পায়। কনভয়ের সকলে তটস্থ হয়ে বসে থাকত, আমিও। কেননা গ্রামের ভিতর প্রধানমন্ত্রীর জঙ্গা ছাড়া আর কোনও গাড়ি ঢুকবে না, বড় রাস্তায় থেমে যেতে হবে। আমার সে উপায় ছিল না, ফলে রাজীবের গাড়ি বাঁক নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি দৌড় লাগাতাম গ্রামবাসীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কথোপকথন স্বকর্ণে শুনব বলে। দু-একটা গ্রামের পরে এস পি জি কমান্ডোরা আমাকে অনুমতি দিল আঁখো দেখা হাল নোটবন্দি করার। 

কথা নেই বার্তা নেই, দেশের প্রধানমন্ত্রী হঠাৎ কোথাও গোবর, কোথাও কাদা, কোথাও নোংরার স্তুপ ঠেলে তাঁদের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন, এই দৃশ্য দেখে গাঁয়ের লোকগুলোর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া হত বিচিত্র। কেউ ভয়ে দৌড় দিতেন, কেউ অবিশ্বাসী চোখে থ মেরে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতেন, তারপর প্রতিবেশীদের হাঁক দিতেন এমন অত্যাশ্চর্য অভিজ্ঞতা দেখে যেতে। স্বপ্ন দেখছেন না সত্যি তা পরখ করতে কেউ কেউ আবার রাজীবকে ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করতেন। কোথাও আবার মেয়েরা শঙ্খধ্বনি আর উলুধ্বনি দিয়ে স্বাগত জানাতেন। সর্বত্রই গ্রামবাসীদের সম্বিত ফিরে আসতে কিছুক্ষণ সময় লাগত, তাঁদের বিস্ময়ের ঘোর কাটার পরে শুরু হত কথোপকথন। গ্রামের মানুষ আর প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজটি করতেন প্রিয়রঞ্জন, আমি লক্ষ করতাম তিনি অনেক সময় আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে অতিরঞ্জিত করে গ্রামবাসীর কথা তর্জমা করছেন। প্রিয়বাবুর উদ্দেশ্যটা ছিল বাম-জমানায় বাংলার গ্রামের মানুষ কতটা দুরবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এই সুযোগে প্রধানমন্ত্রীকে তা বুঝিয়ে দেওয়া। তর্জমার ওপর নির্ভর করার কোনো প্রয়োজন ছিল না আমার, গ্রামবাসীরা সত্যিই যেটা বলেছেন আমার রিপোর্টে শুধু সেইটুকুই উল্লেখ থাকত। 

আরও পড়ুন
জোট-ঘোঁট-ভোট (৩)

রাজীবের প্রশ্নগুলি ছিল সহজ কিন্তু চোখাচোখা, বাংলার গ্রামে বিবিধ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের রূপায়ণ কীভাবে হচ্ছে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তিনি জানতে চাইতেন। জবাবে প্রত্যাশিতভাবেই হত-দরিদ্র গাঁয়ের লোকেরা নানা কথা বলতেন, বিশেষ করে শাসকের দলবাজির কথা। সরকারি সুযোগ সুবিধে যদি পেতে চাও দলে নাম লেখাও। গ্রামবাসীদের অভিযোগের ধরণ থেকেই পরিষ্কার হয়ে যেত তাঁদের রাজনৈতিক অবস্থান। গ্রাম নির্বাচনের দায়িত্বটা প্রিয়র ওপরে ছাড়া ছিল, সেই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে কংগ্রেস প্রভাবিত তল্লাটে নিয়ে যেতেন বেশি বেশি করে। ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থ সেই হিসেবে রাজীবের গ্রাম সফরের গুরুত্ব অনেকটাই যেন লাঘব করে দিয়েছিল।

সনিয়া আগাগোড়া স্বামীর পাশে কাঠের পুতুলের মতো মাথায় ঘোমটা টেনে স্পিকটি নট হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন, একেবারেই যেন ভাবলেশহীন। একটি ছোটো তফসিলি গ্রামে ঢুকে রাজীবের নজর পড়ল একটি কচি ছাগশিশুর ওপর। পরম যত্নে তাকে কোলে তুলে নিয়ে তিনি সনিয়াকে পাশে ডাকলেন, সেই প্রথম কিছুটা উচ্ছাস চোখে পড়ল রাজীব-জায়ার। স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে মিনিট দুয়েক ছাগ-শিশুটিকে আদর করার পরে রাজীব জানতে পারলেন সেদিন সকালেই তার জন্ম হয়েছে। গৃহকর্তার হাতে তাকে তুলে দিয়ে রাজীব বললেন, ‘একে এক্ষুণি মায়ের কাছে ফিরিয়ে দাও।’

পশ্চিম দিনাজপুরের ( তখনও জেলা ভাগ হয়নি) একটি মুসলিম প্রধান গ্রামে রাজীব সস্ত্রীক ঢুকে পড়লেন নোংরা গো-শালায়। কড়া দুর্গন্ধ, নাকে রুমাল চাপা না দিলেই নয়। মাথার ওপর ভন ভন করছে মশক বাহিনী, তাদের চকিত আক্রমণে এস পি জি-র লোকজন একেবারে দিশেহারা। অন্য যে কোনো ধরণের আক্রমণ তাঁরা কীভাবে প্রতিহত করতে হয় জানেন, মশককূলের সামনে তাঁরাও অসহায়। গাঁয়ের লোকেরা চটপট বাড়ি থেকে কয়েকটা হাত-পাখা নিয়ে এলেন, একটা চেয়ে নিয়ে আমি সোজা সনিয়ার হাতে তুলে দিলাম। আমার ধান্দা ছিল এইভাবে তাঁকে খুশি করে পেট থেকে দু’চার কথা বের করে আনা। মনে মনে মা কালীকে স্মরণ করে আমি ম্যাডামকে একটা অতি-মামুলি প্রশ্ন করলাম, বাংলার গ্রাম দেখে তাঁর লাগছে কেমন। সনিয়া কিঞ্চিৎ ঘাড় ঘুরিয়ে এমন রাগত চোখে আমার দিকে তাকালেন যে আমার শিরদাঁড়া দিয়ে একটা হিমেল স্রোত বইতে শুরু করল। মশাদের হাতে সনিয়াকে সমর্পণ করে আমি গোয়ালের বাইরে গিয়ে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিলাম।

আরও পড়ুন
জোট-ঘোঁট-ভোট (২)

পাক্কা সতেরোটি বছর পরে আমার সুযোগ এল ‘বদলা’ নেওয়ার। ১০ নম্বর জনপথের প্রশস্ত লনে এক সান্ধ্য চা-পানের আসরে। ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে সারা দেশের প্রধান আঞ্চলিক ভাষার কাগজের সম্পাদকদের ওই চায়ের আসরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, সেই সূত্রে আমিও গিয়েছিলাম কলকাতা থেকে। গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে মনমোহন সিং হাসিমুখে করজোড়ে অতিথিদের অভ্যর্থনা জানাচ্ছিলেন। তার কয়েক মাস আগেই মনমোহনের দ্বিতীয় হার্ট বাইপাস সার্জারি হয়েছে, চেহারায় ক্লান্তির আবছা ছাপ। নমস্কার বিনিময়ের পরে তিনি যখন জানতে পারলেন আমি আনন্দবাজারের প্রতিনিধি একগাল হেসে মনমোহন বললেন, ‘অভীক আমাকে বহু টাকার একটা চাকরি অফার করেছিল। আমি বললাম, অবসর জীবনে আমার অত টাকার প্রয়োজনই নেই।’ তখন কেই বা জানত বানপ্রস্থ থেকে ফিরে এসে এই খর্বকায়, সুশিক্ষিত, সৎ, সজ্জন, শিখ ভদ্রলোকটিই দু’দিন পরে দেশের প্রধানমন্ত্রী বনে যাবেন!

আমি দেখেশুনে এমন একটা টেবিলে গিয়ে বসলাম যেখানে আমার দুই অতি-পরিচিতজন তার আগে থেকেই বসে ছিলেন - প্রণব মুখোপাধ্যায় ও প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি। সনিয়া প্রধান আমন্ত্রক, তাঁর বাড়িতেই বসেছে চা-পানের আসর, তিনি ঘুরে ঘুরে সব টেবিলে গিয়ে কিছুক্ষণ সময় ব্যয় করছিলেন অতিথিদের সঙ্গে। বসবি তো বোস, আমাদের টেবিলে এসে সনিয়া ঠিক আমার পাশের চেয়ারটিতেই বসলেন। আর তাঁকে আড়ষ্ট কাঠের পুতুল মনে হচ্ছে না, উচ্ছল, প্রাণবন্ত। আমি ১৭ বছর আগের সেই গোয়ালঘরের অভিজ্ঞতা শোনানোর লোভ কিছুতেই সংবরণ করতে পারলাম না। ‘ম্যাডাম সেদিন আপনি একটা মামুলি প্রশ্নের জবাবে আমার দিকে বাঘিনীর চোখে তাকিয়েছিলেন, যেন আমি দেশবিরোধী কোনো কাজ করে ফেলেছি।’ সনিয়া আমার কথা শুনে এমন জোরে হেসে উঠলেন যে আসরের সবাই ঘাড় ঘুরিয়ে আমাদের টেবিলের দিকে তাকিয়ে বোঝার চেষ্টা করলেন, কেসটা কী।

সনিয়া উঠে যাওয়ার পরে প্রিয়’দা হাসতে হাসতে বলল, ‘তোর সাহস আছে মাইরি। সোনিয়াজির মুখের ওপর কথাগুলো বলে দিলি?’

আরও পড়ুন
জোট-ঘোঁট-ভোট (১)

‘কেন বলব না? আর আমার ভয়টা কীসের? আমি তো ভারত সরকারের চাকরি করি না, অভীক সরকারের করি।’

১৯৮৬ সালে ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকা বাংলার রাজনৈতিক আবহে এমন হাসিঠাট্টা করার অবকাশই ছিল না। তিনটে দিন লাগাতার বাংলার গাঁয়ে গাঁয়ে ঘোরার পরে দিল্লি যাওয়ার আগে রাজীব গান্ধী নিজের অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে বামফ্রন্ট সরকারকে তুলোধনা করলেন। সমালোচনা করলেন জ্যোতি বসুর। রাজীব বললেন, বামফ্রন্টের গ্রামোন্নয়ন কর্মসূচি আসলে একটা মস্ত বড় বুজরুকি।

জ্যোতি বসু ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। কাল কা যোগী একজন তাঁর রাজ্যে এসে তাঁর সরকারের সমালোচনা করবেন, জ্যোতি বসু তা মুখ বুজে মানবেনই না কেন। তিনি সরাসরি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে ‘মিথ্যেবাদী’ বলে গাল দিলেন। পারস্পরিক দোষারোপের পালা সেই যে উত্তজিত, উঁচু লয়ে বাঁধা হয়ে গেল, চলল ১৯৮৭-র বিধানসভা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত।

প্রধানমন্ত্রী বনাম মুখ্যমন্ত্রীর এই কাজিয়ায় অভীকবাবু নতুন আর একটি সুযোগ দেখতে পেলেন। দিল্লি থেকে আমাকে কলকাতায় তলব পাঠানো হল, বলা হল, প্রধানমন্ত্রী যে গ্রামগুলোয় গিয়েছিলেন সেখানে ফিরে গিয়ে দেখতে হবে সত্য কথা কে বলছেন, প্রধানমন্ত্রী না মুখ্যমন্ত্রী। অনেক খাটা-খাটনি করে আমি একটা সিরিজ লিখলাম যা সে সময় লোকে গোগ্রাসে গিলেছিল। আমি বুঝলাম, সত্য কথা দু’পক্ষের কেউই বলছেন না, যে যার মতো করে তথ্য অতিরঞ্জিত করছেন, আশ্রয় নিচ্ছেন মিথ্যার। আমি অতএব সিরিজের উপসংহারে কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করতে পারলাম না, ম্যাচটা ড্র হয়েছে লিখে দিয়ে দিল্লি ফিরে গেলাম।

ছবি ঋণ - The Wire

Powered by Froala Editor