সিঙ্গাপুরের পার্কে নজরদারি রোবট-কুকুরের, শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে উদ্যোগ

বেশ কিছু বছর আগে ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে উঠেছিল একটি চতুষ্পদ প্রাণীর ভিডিও। সে পাহাড়ের উঁচুনিচু ঢাল বেয়ে উঠে যেতে পারে অনায়াসে। মানুষের হাতে হাতে প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দিতেও পারে। হলদে-কালো রঙের এই 'প্রাণী'টি দেখতে অনেকটা কুকুরের মতো হলেও এটি আসলে একটি রোবট। বস্টন ডিনামিক্সের এই রোবট-কুকুর 'স্পট' জনপ্রিয় হয়ে উঠলেই তাকে কিনে নেয় সিঙ্গাপুর সরকার। আর এই করোনা মহামারীর সময় সেই রোবটকেই নানান গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে সেদেশের সরকার।

করোনা ভাইরাস অতি দ্রুত একটি মানুষের শরীর থেকে অপর মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। আর তাই সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। তবে ক্রমাগত প্রচার চালিয়েও খুব একটা উপকার হচ্ছে না। তাই এবার জনবহুল অঞ্চলগুলিতে নজরদারি চালানোর কথা ভাবছে সিঙ্গাপুর সরকার। আর এই কাজের ভার দেওয়া হয়েছে রোবট-কুকুর স্পটের উপরেই।

আপাতত এই সপ্তাহের শেষ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কাজে লাগানো হবে স্পটকে। প্রাথমিকভাবে একটি পার্কে নজরদারির কাজ করবে স্পট। তার মাথায় বসানো নজরদারি ক্যামেরায় ধরা পড়বে পার্কে মানুষের জমায়েত। সেইসঙ্গে তার বিশেষ সেন্সরে বোঝা যাবে প্রত্যেকে নূন্যতম শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখেছে কিনা। এছাড়াও একটি ব্রডকাস্ট মেসেজ প্রচারের কাজ করবে স্পট। পরীক্ষামূলক এই কাজে সুফল পাওয়া গেলে দুই সপ্তাহের মধ্যেই দেশের অন্য সমস্ত জনবহুল অঞ্চলে নজরদারির কাজে লাগানো হবে এই আধুনিক প্রযুক্তি।

করোনা মহামারী মোকাবিলায় এই রোবট-কুকুর যদিও আগেও কাজ করেছে। একটি আইসোলেশন সেন্টারে রোগীদের কাছে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার কাজে লাগানো হয়েছিল স্পটকে। এর ফলে কোনরকম শারীরিক স্পর্শ ছাড়াই প্রয়োজনীয় ওষুধ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই মহামারীর পরিস্থিতিতে বিপন্ন অন্যান্য দেশগুলির মতোই অবস্থা সিঙ্গাপুরের। এর মধ্যে যুদ্ধের এক সেনানী হিসাবে স্পট কতটা সফলভাবে কাজ করতে পারে, সেদিকেই তাকিয়ে আছেন সবাই।