দীর্ঘ ৩ মাস ধরে তদন্ত চলেছে সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু রহস্যকে ঘিরে। আর এর মধ্যেই নতুন একটি মাত্রা যোগ করল সাম্প্রতিক ফরেন্সিক রিপোর্ট। দেশের চিকিৎসা গবেষণার পীঠস্থান এইমসের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হত্যার তত্ত্ব অলীক। সুশান্তের দেহে বিষপ্রয়োগ বা অন্য কোনো ধরনের খুনের চেষ্টার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অভিনেতার মৃত্যুর কারণ হিসাবে আত্মহত্যার দিকেই নির্দেশ দিচ্ছে রিপোর্ট। সোমবার মুম্বইয়ের কুপার হাসপাতালের রিপোর্ট সহ সামগ্রিক ফরেন্সিক রিপোর্ট সিবিআই-এর হাতে তুলে দেয় এইমস।
১৪ জুন সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃতদেহ উদ্ধার হয় মুম্বইয়ের বাসভবন থেকে। তারপর থেকেই এই মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে জল্পনা তৈরি হতে থাকে। মুম্বই পুলিশের হাত থেকে তদন্তের ভার নেন সিবিআই। জেরা করা হয় অভিনেতার বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীকে। এই মৃত্যুর পিছনে কোনো পরিকল্পিত ছক ছিল বলেই সন্দেহ উঠে এসেছে বারবার। কিন্তু এইমসের সাম্প্রতিক রিপোর্ট সেই সন্দেহের সামন প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিচ্ছে।
এই রিপোর্টকে ঘিরে উত্তাল সামাজিক মাধ্যমও। সত্যিই কি এটা নিছক আত্মহত্যার ঘটনা? নাকি কোনোকিছু আড়াল করার চেষ্টা করা হচ্ছে? এমন প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনদের একাংশ। সাম্প্রতিক সময়ে নানা গুরুত্বপূর্ণ মামলা নিয়ে জনমত গড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই তাকে আড়াল করার চেষ্টাও দেখা গিয়েছে। ফলে সন্দেহ আরও জোরদার হচ্ছে। আবার সত্যিই যদি এটা নিছক আত্মহত্যার ঘটনা হয়, তাহলে তদন্তকারী অফিসাররা এতদিন কি তার কোনো প্রমাণই পাননি? এমন প্রশ্নও উঠছে। যদিও মুম্বই পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল যে সুশান্ত সিং আত্মহত্যাই করেছেন। তাহলে সিবিআই তদন্তের ভার তুলে নেওয়ার পর নানাদিকে তদন্তের গতি ঘোরানোর চেষ্টা করেছেন কেন? নাকি এর মধ্যেই আসলে পরিকল্পিত কোনো ছক ছিল? প্রশ্ন উঠছে নানা মহল থেকে।
সিবিআই অবশ্য এখন এইমসের রিপোর্টের উপরেই আস্থা রাখছেন। তবে আত্মহত্যার পিছনেও কারোর প্ররোচনা থাকতে পারে। অথবা কোনোভাবে পরিকল্পিতভাবে অভিনেতাকে অবসাদের দিকেও ঠেলে দেওয়া হতে পারে। এমন সব সম্ভাবনার কথা অবশ্য তাঁরা উড়িয়ে দিতে চাইছেন না। ফলে তদন্ত চলবে সেইসব সম্ভাবনার সূত্র ধরেই। এই মামলায় আরও কোনো মাত্রা খুঁজে পাওয়া যায় কিনা, সকলের চোখ সেদিকেই।
Powered by Froala Editor