বিপদে একা ছাড়া নয় কাউকেই, ত্রাণশিবিরের পথে মানুষের সঙ্গী পোষ্যও

এগিয়ে আসছে বিধ্বংসী সাইক্লোন আমফান। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। এই বিধ্বংসী ঝড়ের হাত থেকে বাঁচাতে তাই ত্রাণ শিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে উপকূল অঞ্চলের মানুষদের। কিন্তু ঝড় কি শুধু মানুষেরই প্রাণ কেড়ে নেয়? আর বাড়ির পোষ্য প্রাণীরা? আসন্ন বিপদের কথা হয়তো তারা ভালোভাবে টের পাচ্ছে না। কিন্তু বিপদের সময় তাদের একা ফেলে সরে যেতে পারে কাছের মানুষরা?


ইতিমধ্যে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকেই এখনও রাস্তায়। তবে ভিটেমাটি ছেড়ে যাওয়ার আগে অনেকেই সঙ্গে নিয়েছেন বাড়ির পোষ্য গরু বা ছাগলদের। সম্পূর্ণ বাড়িটাকে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া তো সম্ভব নয়। কিন্তু পরিবারের প্রতিটা সদস্য যেন সুরক্ষিত থাকে। ওদের নিয়েই তো পরিবার! আর ওরাও যেন টের পাচ্ছে, বিপদ এসেছে। তাই যে মানুষরা তাদের ভালোবাসে, তারা নিয়ে যাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়ে। শুধু আবার যখন ফিরে আসবে, তখন সবকিছু আগের মতো থাকবে কিনা জানেন না কেউই।


সুন্দরবন অঞ্চলের ঘোড়ামারা মৌসুনি, জি-প্লট, গোসাবা এলাকায় তাই এখন সকলেই হাঁটছেন। পিছন ফিরে তাকাচ্ছেন হয়তো মাঝেমধ্যে। তবে যাদের বাসস্থান থেকে সরিয়ে আনা সম্ভব নয়, সেই সুন্দরবনের বাঘেদের জীবনও এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে। এর আগে বুলবুল এবং ফনির দাপটেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাঘ্র প্রকল্প। আর এবারের বিপদ তো আরো ভয়াবহ। অবশ্য বাঘের উপর নজর রাখার জন্য ইতিমধ্যে বিপদসংকুল স্থানে পৌঁছে গিয়েছেন বনবিভাগের ৪ জন কর্মী। তাঁদেরও জীবনের আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে। কিন্তু এই দুর্যোগ থেকে বাঁচতে গেলে, সবাইকে একসঙ্গেই তো বাঁচতে হবে।