মাথার কাছে দাঁড়িয়ে বাবা, মিলিয়ে গেলেন হাওয়ায়; খানিক পরেই এল মৃত্যুসংবাদ!

ভূতে ভয় পাওয়ার ইচ্ছা মানুষের চিরকালের একটা শখ। শুধু ভয় পাওয়াই নয়, অনেকে আবার সচক্ষে ভূত দেখেওছেন। ভূত নিয়ে অবশ্য নানা জনের নানা মত। তবে আমাদের যেমন এক দেশ থেকে আরেক দেশে যেতে পাসপোর্ট লাগে, ভূতেরও কি লাগে? না বোধহয়। তা না হলে, অ্যান্ড্রু ল্যাংয়ের পরিবারের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল কী করে!

আরও পড়ুন
বিলেতে মারা গেলেন সাহেব, তখনই কলকাতায় দেখা গেল তাঁর ভূত!

হেঁয়ালি না করে গোড়া থেকে বলা যাক ব্যাপারটা। ১৮৯৩ সালে প্রকাশিত জেমস ডগলাসের ‘Bombay and Western India’ বইতে ঘটনাটির উল্লেখ পাওয়া যায়। অ্যান্ড্রু ল্যাং ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীর জেনারেল পদে ছিলেন। তাঁর কিছু আত্মীয় থাকতেন এডিনবরায়। সেখানে থাকতেন তাঁর মেয়েও। একদিন বেশ সকালে ঘুম ভেঙে তিনি চমকে ওঠেন। তিনি দেখেন, তাঁর বাবা, অ্যান্ড্রু ল্যাং তাঁর মাথার কাছে দাঁড়িয়ে। পরনে সামরিক পোশাক। এত সকালে বাবা এখানে কী করছেন, সেটাই ভাবছিলেন ভদ্রমহিলা। আচমকা দেখলেন, অ্যান্ড্রু ল্যাং নিজের বুক চেপে ধরলেন। যন্ত্রণায় ছটফটিয়ে উঠল তাঁর মুখ। তারপর, হঠাৎই যেন মিলিয়ে গেলেন হাওয়ায়। ম্যাজিকের মতো।

মেয়ের হাত পা রীতিমত ঠান্ডা হয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে একটা কাগজে লিখে রাখলেন ঘটনার সময়, তারিখ। ছুটলেন স্থানীয় পাদ্রির কাছে। পাদ্রিও হতবাক। কিছু সময় পর, ভারত থেকে একটা জাহাজ এল সেখানে। খবর এল, ভারতে শুরু হয়েছে সিপাহী বিদ্রোহ। সেখানে নিজের অধীনস্থ সিপাহীদের শান্ত করতে গিয়েছিলেন অ্যান্ড্রু ল্যাং। আর সেই সময়ই তাঁর বুকে এসে লাগে গুলি। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। উল্লেখ্য, সেই সময় তাঁর পরনে ছিল ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সামরিক পোশাক!

সেই সময় পাসপোর্টের চলও ছিল না। কিন্তু ভূতেদের আর কবেই বা সেসব লেগেছে। তাই সাগর পাড়ি দিতে তাঁর সময় লাগেনি একদম। শেষবার পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে আসা আর কি!        

More From Author See More