গাছের পাতা থেকেই স্যানিটাইজার! আশ্চর্য দাবি উত্তরবঙ্গের গ্রামের!

মহামারীর প্রকোপের পর থেকেই এক ধাক্কায় বেড়ে গেছে স্যানিটাইজারের চাদিহা। বেড়েছে উৎপাদনও। তবে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েও প্রথাগত অ্যালকোহল-জাত স্যানিটাইজার ব্যবহার থেকে নিজেদের বিরত রেখেছে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের ছোট্ট একটি গ্রাম। কালিম্পং জেলার ঝান্ডি গ্রামের বাসিন্দারা ভাইরাসকে প্রতিহত করতে বিকল্প হিসাবে বেছে নিয়েছেন এক ভেষজ ‘স্যানিটাইজার’-কে।

স্যানিটাইজার, তাও আবার ভেষজ! এও কি সম্ভব? শুনতে অবাক লাগাই স্বাভাবিক। তবে ঝান্ডির বাসিন্দাদের দাবি এমনটাই। তাঁরা মূলত টিতেপাতি নামের একটি গাছের পাতার রস ব্যবহার করেই তৈরি করে ফেলেছেন এই স্যানিটাইজার। তবে এই হালের আমলে নয়। যুগ যুগ ধরেই উত্তরবঙ্গের এই গ্রামে ব্যবহৃত হয়ে আসছে টিতেপাতি গাছ থেকে উৎপাদিত স্যানিটাইজার। কিন্তু সত্যিই কি এমন ম্যাজিকাল ক্ষমতা রয়েছে এই গাছের?

হ্যাঁ, একেবারেই আজগুবি লোকবিশ্বাস নয়। গবেষকরা জানাচ্ছেন, আর্টেমিসিয়া নামের এই গাছের পাতায় উপস্থিত রয়েছে বেশ কিছু রাসায়নিক উপাদান এবং ভেষজ তেল। যার ঝাঁঝালো গন্ধের কারণে মশা-মাছি, এমনকি বিষাক্ত নানা পোকামাকড়ও সাধারণত কাছে ঘেঁষে না। মূলত পাহাড়ি এই কীট-পতঙ্গদের থেকে বাঁচতেই বহু যুগ আগে থেকে গ্রামের বাসিন্দারা ব্যবহার করে আসছেন এই টিতেপাতি গাছের পাতা।

আর করোনা? না, এই গাছ আদৌ করোনা প্রতিরোধক কিনা, এখনও পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট প্রমাণ পাননি গবেষকরা। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, এই ভেষজ স্যানিটাইজারের ব্যবহার করেই এখনও সম্পূর্ণ করোনামুক্ত উত্তরবঙ্গের এই গ্রাম। এমন ঘটনা সত্যিই এক রহস্যই বটে। এই গাছেরই গুণাবলী নাকি ওই অঞ্চলের মানুষের হার্ড ইমিউনিটির কারণে এমন ঘটনা— তা বিস্তারিত গবেষণা ছাড়া বলতে নারাজ গবেষকরা। 

আরও পড়ুন
১৫৫টি গাছের ঔষধি গুণ নখদর্পণে, বিনামূল্যেই চিকিৎসা করেন অশীতিপর ভাষাসৈনিক

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
মাস্ক, স্যানিটাইজার দিয়েই সেজে উঠছে ক্রিসমাস ট্রি, সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগ ইন্দোনেশিয়ায়

More From Author See More