আবার পাশবিকতার ছবি , অসমে পিটিয়ে খুন করা হল চিতাবাঘকে

কেরালার পর এবার উঠে এল অসমের নাম। হাতি হত্যার পর আবারও একটি নারকীয় ঘটনার শিকার হতে হল বন্যপ্রাণীকে। প্রাণ গেল একটি চিতাবাঘের। লোকালয়ে চলে আসায় স্থানীয় বাসিন্দারা পিটিয়ে হত্যা করলেন চিতাটিকে। গুয়াহাটির কাঠাবাড়ি অঞ্চলে সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটে।

গত কয়েকদিন আগেই ওই অঞ্চলে একটি চিতাবাঘ দেখা দিয়েছিল। সম্ভবত খাবারের খোঁজেই লোকালয়ে ঢুকে পড়েছিল প্রাণীটি। বনদপ্তরের কর্মী এবং আধিকারিকেরা কয়েকদিন ধরে চেষ্টা করছিলেন চিতাটিকে ধরার। রবিবার ভোর পাঁচটার সময় ফরেস্ট অফিসারের কাছে খবর আসে, দেখতে পাওয়া গেছে চিতাটিকে। তাকে ধরার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে তৈরি ছিল কর্মীরা। ৯টা নাগাদ জঙ্গলে পালিয়ে যায় প্রাণীটি। কিন্তু গ্রামবাসীদের ফাঁদে আটকা পড়ে চিতাটি। তারপর পিটিয়ে হত্যা করা হয় তাকে।

চিতাটিকে হত্যার পর তার মৃতদেহ নিয়ে উল্লাস চলে অঞ্চলে। উন্মত্ততায় তার ছিঁড়ে নেওয়া হয় চামড়া। উপড়ে নেওয়া হয় দাঁত, নখ। মৃতদেহ নিয়ে প্রদর্শনী করা হয় স্থানীয় অঞ্চলে। সেই দৃশ্যের ভিডিও ভাইরাস হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেখানো হয় স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমেও।

চিতাটির মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় বনকর্মী ও পুলিশ। এখনো অবধি ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে চিতাটিকে কে বা কারা খুন করেছে তার কোনো ভিডিও প্রমাণ না থাকায়, এখনও অনুসন্ধান চালাচ্ছে পুলিশ। 

এখনও মেলেনি পোস্টমর্টেম রিপোর্ট। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যে চিতাটি আগে থেকেই আহত ছিল। যার কারণে সরু দড়ির ফাঁদেই ধরা পরে সে। সাধারণত এই ধরণের ফাঁদ ছিঁড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় চিতাবাঘ। মনে করা হচ্ছে মুরগির পোলট্রিতে ব্যবহৃত হয়েছিল ফাঁদটি।

মানুষের পাশবিকতার জঘন্যতম নিদর্শন রাখল এই ঘটনা। আবারো সভ্যতার খেসারত দিতে হল বন্যপ্রাণীকে। কেরালার ঘটনার সপ্তাহ খানেক পরই মানুষের এমন বর্বরতা প্রশ্ন তুলছে, কতটা নিরাপদ বন্যপ্রাণীরা?

Powered by Froala Editor