দেশের চতুর্থ সম্পদশালী শহর কলকাতা, জানাচ্ছে পরিসংখ্যান

সারা দেশে সম্পদের নিরিখে চতুর্থ (Fourth Wealthiest City) স্থানে রয়েছে কলকাতা (Kolkata)। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে এমনই তথ্য। প্রথম স্থানে স্বাভাবিকভাবেই রয়েছে দেশের অর্থনৈতিক রাজধানী মুম্বাই। দ্বিতীয় স্থানে দিল্লি। তবে বেঙ্গালুরু এবং কলকাতাও খুব পিছিয়ে নেই। শুধু মোট সম্পদের নিরিখেই নয়, মিলিয়নেয়ার এবং বিলিয়নেয়ারের সংখ্যার ভিত্তিতেও কলকাতার স্থান চতুর্থ। দক্ষিণ আফ্রিকার একটি পরিসংখ্যান সংস্থার তৈরি এই রিপোর্টের কথা সম্প্রতি উল্লেখ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।

দক্ষিণ আফ্রিকার পরিসংখ্যান সংস্থা ‘নিউ ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ’-এর পক্ষ থেকে গত ৭ বছর ধরে পৃথিবীর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহরের সার্বিক সম্পদের পরিমাণ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। চলতি বছর সেই তালিকায় জায়গা পেয়েছে ভারতের বেশ কিছু শহরও। তবে এর মধ্যে মুম্বাই এবং দিল্লি ছাড়া বেঙ্গালুরু আর কলকাতাই গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করতে পেরেছে। এই দুই শহরেই গত কয়েক বছরে প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়েছে। ফলে বেশ কিছু ব্যবসায় লাভের সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসঙ্গে বেড়েছে মোট সম্পদের পরিমাণও। যদিও মিলিয়নেয়ার, বিলিয়নেয়ারদের নাম ও অন্যান্য তথ্য প্রকাশ্যে আনেনি এনডব্লিউডব্লিউ।

এনডব্লিউডব্লিউ-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের ৪টি শহরেই মোট মিলিয়নেয়ারের সংখ্যা ৩৩ হাজারের বেশি। এর মধ্যে আবার ২১ হাজারের সম্পত্তির পরিমাণ ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের উপরে। শুধু তাই নয়, ৪টি শহরে মোট বিলিয়নেয়ারের সংখ্যাও ১২০ জন। অন্য বিভিন্ন দেশের তুলনায় এই সংখ্যাগুলি যথেষ্টই বেশি। ফলে এই পরিসংখ্যান একদিকে ভারতের অর্থনৈতিক বৈষম্যের ছবিটিও তুলে ধরে। অবশ্য অর্থনীতিবিদদের মতে, ৯০-এর দশক থেকেই সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়তে শুরু করেছে। আর এই বৈষম্যকে নেতৃত্ব দিয়েছে বিশ্বায়ন এবং গণপরিষেবার বেসরকারিকরণ। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতেও লাগামহীনভাবে বিশ্ব পুঁজির অনুপ্রবেশ ঘটেছে এবং গণপরিষেবার বেসরকারিকরণের কাজ এখনও চলছে। এই অবস্থায় বৈষম্যের বিষয়টি একেবারেই অপ্রত্যাশিত নয়। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই কেন্দ্রের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করেছেন। তবে বৈষম্যের প্রভাব থেকে যে কলকাতা শহরও একেবারেই মুক্ত নয়, এনডব্লিউডব্লিউ-এর রিপোর্টই তার প্রমাণ।

Powered by Froala Editor