আট ইঞ্চি লেজ, ‘হনুমানের অবতার’ হয়ে উঠেছে এই কিশোর

ভারতীয় জনসংখ্যার বেশিরভাগই এই আধুনিক যুগেও অন্ধবিশ্বাসী এবং কুসংস্কার আঁকড়ে বেঁচে আছেন। মূর্তিকে দুধ খাওয়ানো থেকে শুরু করে ভর হওয়া – অদ্ভুতুড়ে ঘটনা শোনা যায় প্রায়ই। এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী উত্তর-পশ্চিম ভারত।

জন্ম থেকে পিঠের নিচে লেজ নিয়ে জন্মায় বালাজি। এখন তার লেজ ৮ ইঞ্চি লম্বা। তার দাদু ইমরান কুরেশির বলেন, ‘জন্মের একবছর পরেই যখন বালাজি কথা বলতে শুরু করে, সে চারটে ধর্মের ৪ জন ভগবানের নাম নেয়, সেই থেকে আমি বুঝে যাই ভগবান অবতার হয়ে এসেছে আমাদের ঘরে।’ হিন্দু ধর্মের পূজনীয় দেবতা হনুমানের সঙ্গে লেজের মিল থাকার কারণে তাকে বালাজি নাম দেওয়া হয়, এবং কিছু দিনের মধ্যেই আশেপাশের প্রত্যেকটা গ্রাম এবং পাড়ায় ছড়িয়ে যায় খবরটি। ইমরানের ঘর আর ঘর থাকে না, মন্দির হয়ে ওঠে। দূর-দূরান্ত থেকে লোক এসে নিজেদের কষ্ট, পরিবারের শারীরিক কষ্টের দ্রুত আরোগ্য কামনা করা শুরু করে। কারোর কারোর দাবি, বালাজির আশীর্বাদে সেরেও যায় রোগভোগ। এদিকে বালাজির নিষ্পাপ গলা বলে ওঠে ‘আমি তো কিছুই করি না। যতটা সম্ভব হনুমানজির কাছে প্রার্থনা করি। সব তো হনুমানজিই করছে।’

শারীরিক এই ভিন্নতা থাকার কারণে হাঁটতে পারে না বালাজি, হুইল চেয়ারই ভরসা তার। প্রাণোচ্ছল বালাজির সাধারণ জীবনের জন্য তার দাদু যত জলদি সম্ভব তার সার্জারি করাতে চান। এবার গ্রামবাসী তাঁদের নিজেদের বিশ্বাস ভেঙে মানিয়ে নিতে পারেন কিনা, সেটাই দেখার।