৪০ বছর পর ফুটবল মাঠে এলেন ইরানের মহিলারা

পুরুষতান্ত্রিক সমাজ দীর্ঘকাল নারীকে হেয় করে এসেছে। উন্নত ও উন্নততর দেশে পুরুষ নারীর মধ্যে পার্থক্য ধীরে ধীরে কমলেও, মধ্য প্রাচ্যে নারীজাতিকে এখনও অবহেলাই করা হয়।

তবে এর মধ্যেও খানিক আশার আলো দেখাচ্ছে ইরান। প্রায় চার দশক পর সেই দেশের ৩০০০-এরও বেশি মহিলা কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে ইরানের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের খেলা দেখলেন। তবে ইরান স্পোর্টস অথরিটির এত চেতনা হয়নি। ফিফা ও হিউম্যান রাইটস ক্যাম্পেইনের অঙ্গুলিহেলনেই কাজ হয়েছে বলে মনে করছেন ফুটবলপ্রেমীরা।

তবে ফিফার হস্তক্ষেপ প্রয়োজনই ছিল। গতমাসে তেহরানের আজাদী স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করার পর স্টেডিয়ামের বাইরে এসে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন ২৯ বছরের শাহার খোদায়ারি নামের এক মহিলা ফুটবলপ্রেমী। স্টেডিয়ামে ঢোকার চেষ্টা করার জন্য তার ৬ মাসের জেল হতে পারে এ কথা জানতে পেরেই আগুনে ঝাঁপ দেন শাহার।

১৭৭৯ সালে ইসলামী বিপ্লবের পর থেকে কিছু নির্বাচিত ম্যাচ ছাড়া অন্যান্য ফুটবল ম্যাচে মহিলাদের স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা দেখার অনুমতি ছিল না।

বৃহস্পতিবার ইরান-কম্বোডিয়া ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই সমস্ত টিকিট শেষ হয়ে যায়। স্টেডিয়ামে মহিলাদের জন্য নির্দিষ্ট করা স্থানে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অনেকেই গালে দেশের পতাকা একে পতাকা ওড়াচ্ছিলেন। যদিও পুরুষ দর্শকদের আসন অধিকাংশই ফাঁকা ছিল। এই প্রথম ফুটবল ম্যাচের টিকিট সাধারণের জন্যে উন্মুক্ত করা হল। গত বছর এই মাসে হাতে গোনা কয়েকজন নির্বাচিত মহিলা বলিভিয়ার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচ দেখতে পেরেছিলেন। যদিও সেই ম্যাচের পরেরদিনই প্রসিকিউটর জেনারেল ভবিষ্যতে এর পুনরাবৃত্তি নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।