ঘরবন্দি দিনগুলোয়, ‘ইমার্জেন্সি লাইব্রেরি’তে কয়েক লক্ষ ই-বুক

নোবেল করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে স্তব্ধ জনজীবন। এই অবসরে অনেকেই মুখ গুঁজছেন বইয়ের পাতায়। বই পড়ার অভ্যাস তো আজকাল চলেই গিয়েছে। এই সুযোগে যেন সেটা খানিকটা ফিরে আসছে। তবে হাতের কাছে পড়ার মতো বই কি পাচ্ছেন সবাই? এদিকে তো সমস্ত লাইব্রেরিও বন্ধ। তবে মানুষের একাকিত্বের খোরাক জোগাতে এগিয়ে এল ইন্টারনেট আর্কাইভ। জরুরি পরিস্থিতিতে তাঁরা নিয়ে এলেন 'ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি লাইব্রেরি'। এখানে আপনি পেয়ে যাবেন কয়েক মিলিয়ন ই-বুক। আর তাও সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।

আরও পড়ুন
পেশায় শ্রমিক, মাটি কাটছেন ভরদুপুরে, বিকল্প জীবিকার আর্জি ভাইরাল ‘চা-কাকু’র

এই পাবলিক ডোমেইনে এতদিন প্রায় ২৫ লক্ষ বই তো ছিলই। সেই তালিকায় যুক্ত হল আরও ১৪ লক্ষ সদ্য প্রকাশিত এবং প্রয়োজনীয় বই। এগুলো যদিও এখনও কপিরাইটের আওতাভুক্ত। শুধু জরুরি পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সাময়িকভাবে তাদের পাবলিক ডোমেইনে আনা হয়েছে। পাওয়া যাবে জুন মাসের শেষ পর্যন্ত। অবশ্য আমেরিকার সরকার জরুরি পরিস্থিতির নির্ঘণ্ট বাড়ালে এই সময়সীমা বাড়বে।

আরও পড়ুন
রাস্তার ধারের লাইব্রেরিই হয়ে উঠছে প্যান্ট্রি, মানবিকতার বিরল ছবি আমেরিকায়

করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে বন্ধ লাইব্রেরি থেকে বই উৎসব এবং নতুন বইয়ের বিক্রি। তাই লেখক ও প্রকাশকদের অনেকেই বেছে নিচ্ছেন ডিজিটাল মিডিয়াকেই। গত সপ্তাহে ডায়লগ বুকসের কর্ণধার শারমিন লাভগ্রোভ নিয়ে এসেছিলেন তাঁর 'ডিজিটাল বুক ক্লাব'। ইন্টারনেটের পাঠকদের সামনে হাজির করেছেন বহু নতুন লেখক এবং প্রকাশককেও। সেই প্রচেষ্টাকেই আরও ব্যাপক মাত্রায় নিয়ে যেতে আগ্রহী ইন্টারনেট আর্কাইভ।

আরও পড়ুন
একটি সিলিন্ডার থেকেই ১২ জনকে দেওয়া যাবে অক্সিজেন, আবিষ্কার ইন্ডিয়ান নেভির

শুধুই তো গল্পের বইয়ের পাঠক নন, লক-ডাউনের জেরে বিপর্যস্ত অনেক পড়ুয়া এবং শিক্ষকও। বন্ধ স্কুল কলেজ। অনেক জায়গাতেই ক্লাস চলছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে। কিন্তু পড়াশুনোর জন্য প্রয়োজনীয় বই পাবেন কোথায়? ইন্টারনেট আর্কাইভ তাই বিষয়ভিত্তিক নানা বইকেও হাজির করেছেন পাঠকের সামনে। তবে গল্পের বইয়ের সংখ্যাটাই বেশি। উনিশ ও বিশ শতকের বিভিন্ন ক্লাসিক বইয়ের সম্ভার তো ছিলই, সঙ্গে যুক্ত হল নতুন প্রজন্মের লেখকদের বই।

আরও পড়ুন
অভাবী পড়ুয়াদের জন্য হাজির ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি, বাঙালি দম্পতির উদ্যোগ

ইন্টারনেটের এইসব বই অবশ্য বই পড়ার প্রকৃত আমেজ আনতে পারে না, মনে করছেন অনেকেই। এতে পাতা স্পর্শ করার অনুভূতি নেই, নেই বই পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়ার অনুমতিও। তবে কাহিনি তো একই। আর লকডাউনের জেরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া মানুষ যদি এর মধ্যে খানিকটা বইপোকা হয়ে ওঠে, তাতে বরং উপকারই হবে।