তাকে বলা হয় ‘দ্য শিপ অফ ড্রিমস’। টাইটানিক। ইতিহাস, সিনেমা— সমস্ত দিক থেকেই টাইটানিকের প্রতি এক গভীর আকর্ষণ রয়েছে আমাদের। ১৯১২ সালে একটি ভাসমান হিমবাহে ধাক্কা লাগে ডুবে গিয়েছিল জাহাজটি। সমুদ্রের গভীরে এখন কেমন রয়েছে সে? এরই উত্তর খুঁজতে সম্প্রতি একটি বিশেষজ্ঞ দল অভিযান চালিয়েছিল আটলান্টিক মহাসাগরে। কী দেখলেন তাঁরা?
বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৯১২-তে ডুবে যাওয়া টাইটানিকের কিছু অংশ এখনও অক্ষত আছে। কিন্তু অনেক জায়গায় ইতিমধ্যেই ভালরকম ক্ষয় হতে আরম্ভ করেছে। ক্যাপ্টেনের ঘর, স্টারবোর্ডের একটা অংশ, অভ্যর্থনা ঘর— এইরকম কিছু জায়গা একদম ভেঙে গেছে। ক্যাপ্টেনের বিখ্যাত বাথটাবটিও আর নেই। এর মূল কারণ হিসেবে নোনাজল এবং ধাতু ক্ষয়কারী ব্যাকটেরিয়াকে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যার ফলে জাহাজটা ক্রমাগত সমুদ্রের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। যদি এরকমই চলতে থাকে, তাহলে সমুদ্রেই চিরতরে মুছে যাবে ‘শিপ অফ ড্রিমস’। এই ইতিহাসকে ধরে রাখতে শীঘ্রই কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছেন গবেষকরা।