চেহারা ফিরবে সালকিয়ার ঐতিহাসিক ‘সল্ট গোলা’র, ঘোষণা স্বাধীনতা দিবসে

১৫ আগস্ট দেশের ৭৪তম স্বাধীনতা দিবস আমাদের আরেকবার ইতিহাসের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছিল। আর তার মধ্যে গান্ধিজির লবণ সত্যাগ্রহের কথা মনে পড়বে না, তা কি হয়? কিন্তু ডাণ্ডি যাত্রা গুজরাটে ঘটলেও ব্রিটিশের লবণ আইনের জন্ম কিন্তু বাংলার বুকেই। হাওড়া জেলায় হুগলি নদীর তীরে সালকিয়ায় আজও আছে সেই সল্ট গোলা। বাংলা ও ইংরেজি শব্দের মিশেলে এমন নামই রাখা হয়েছিল গোডাউনের। আর এখানেই ছিল সল্ট কমিশনারের অফিস এবং বাসস্থান। এখান থেকেই ১৮৮২ সালে পাশ হয়েছিল ব্রিটিশ লবণ আইন।

স্বাধীনতার পর এতদিন ধরে অবহেলায় আর অযত্নে পড়ে ছিল এই বিল্ডিং। কিন্তু ৭৪তম স্বাধীনতা দিবসে সেই সম্পত্তিকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন রেল ল্যান্ড ডেভালাপমেন্ট অথরিটির কর্তারা। বিজ্ঞপ্তিতে এও জানানো হয়েছে যে, কোনো বাণিজ্যিক সংস্থা এর উন্নতি প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চাইলে লিজ দেওয়া হবে। আর এভাবে অন্তত ৮০০ কোটি টাকা আয় হবে বলেও আশা করছেন তাঁরা।

রেল ল্যান্ড ডেভালাপমেন্ট কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন অনেকেই। ইন্ট্যাক কলকাতা শাখার কনভেনর জিএম কাপুর মনে করছেন, এই ঐতিহাসিক এলাকাটিকে ঘিরে একটা গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন প্রকল্প গড়ে তোলা সম্ভব। সেইসঙ্গে তিনি এও জানিয়েছেন, গুদামঘরের বিরাট এলাকাটিতে শিল্প ও সংস্কৃতির এক পীঠস্থান গড়ে তোলার পরিকল্পনাও জানিয়েছেন তিনি। এমনকি এই জায়গাটিকে ঘিরে শিল্পগ্রাম গড়ে তোলার সম্ভবনাও আছে। পাশাপাশি রেল ল্যান্ড ডেভালাপমেন্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আশেপাশের পরিত্যক্ত এলাকা এবং হুগলি নদীকেও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। সেখানে বাণিজ্যিকভাবে ফেরি চলাচলও শুরু হতে চলেছে। আর স্বাধীনতা দিবসে ইতিহাসের সংরক্ষণের চেয়ে খুশির খবর আর কিই বা হতে পারে?

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
'আমার প্রার্থনার রাম, দশরথপুত্র ও অযোধ্যার রাজা সেই ঐতিহাসিক রাম নন', বলেছিলেন গান্ধীজি