সৃষ্টির শুরুতে জলমগ্ন ছিল পৃথিবী, তার মধ্যেই জন্ম প্রথম প্রাণের

একদম অন্যরকম ছিল পৃথিবী তখন। প্রাণের জন্মেরও বহু দেরি। মোটামুটি ৪ বিলিয়ন বছর আগে জন্ম নেয় এককোষী জীব। অ্যামিবার মতো। কিন্তু তখন আমাদের পৃথিবীটা ঠিক কেমন ছিল? তার উষ্ণতা কি এখনকার থেকে অনেক বেশি ছিল? নাকি কম? এব্যাপারে বিজ্ঞানীরা এখনও একমত হতে পারেননি। তবে নতুন নতুন গবেষণায় উঠে আসছে নতুন নতুন তথ্য।

আরও পড়ুন
চাঁদই একমাত্র নয়, পৃথিবীর আরও একটি ‘উপগ্রহের’ সন্ধান পেলেন বিজ্ঞানীরা

কলোরাডো বোল্ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের দুই অধ্যাপক তাঁদের গবেষণায় তুলে ধরলেন প্রাচীন পৃথিবীর চেহারা। সেই গবেষণা অনুযায়ী পৃথিবী তখন ছিল গভীর সমুদ্রে ঢাকা। কোথাও স্থলভাগের কোনো চিহ্ন পর্যন্ত নেই। ঠিক যেন অ্যাপোকেলিপসের পরের পৃথিবী। কল্পকাহিনীতে পৃথিবীর ধ্বংসের চেহারা যেমনভাবে উঠে আসে। সৃষ্টির শুরুও এমন ভাঙাচোরা অবস্থা থেকেই? তেমনটাই বলছেন গবেষকরা।

আরও পড়ুন
ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে পৃথিবী, কমছে জল, অ্যানিমেশনে সেটাই ধরলেন বিজ্ঞানী

জলের মধ্যেই যখন প্রাণের উৎপত্তি, তখন ধরে নিতে হবে স্থলভাগের অস্তিত্ব তখন ছিল না। এমনটাই অভিমত গবেষক বোসওয়েল উইং-এর। আর সেই সময়ের ছাপও খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিমে সমুদ্রগর্ভে প্যানোরমা ডিস্ট্রিক্ট অঞ্চলে শিলার উপর পেয়েছেন ৩.২ বিলিয়ন বছর পূর্বের সমুদ্রের ঢেউয়ের ছাপ। আর তার সঙ্গে অক্সিজেনের দুধরনের আইসোটোপ। সাধারণত পরিবেশে এই দুই আইসোটোপের যে অনুপাত পাওয়া যায়, আলোচ্য নমুনায় তা অনেকটাই আলাদা। অক্সিজেন-১৮ আইসোটোপের পরিমাণ এখানে বেশ বেশি। আর সেকারণেই উইং ও বেঞ্জামিন জনসন মনে করছেন, আশেপাশে তখন স্থলভাগের অস্তিত্ব ছিল না।

আরও পড়ুন
পৃথিবী কিংবা সূর্য জন্মায়নি তখনও, ৭০০ কোটি বছরের ‘বৃদ্ধ’ এই পদার্থ

এরপর নানা ঘটনার ভিতর দিয়ে পাল্টেছে পৃথিবীর চেহারা। তার পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস যদিও এখনও অজানা। তবে পৃথিবীর আনাচে কানাচে ছড়িয়ে আছে সেইসব ঘটনার চিহ্ন। বিজ্ঞানীরা সেইসব চিহ্ন খুঁজছেন। আর তার বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা দিয়ে তৈরি করছেন পৃথিবীর ইতিহাসের ধারালিপি।