ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে হ্যাটট্রিক কর্ণাটকের যুবকের, অকালপ্রয়াত কিংবদন্তি কার্লটন

সময়টা ১৯৯৩ সাল। লাল-হলুদ জার্সি গায়ে মাঠে নামলেন কর্ণাটকের এক যুবক। মাঠে নামতেই তার পায়ের যাদুতে চমকে গেলেন দর্শকরা। তখনই বুঝতে পেরেছিলেন সবাই, এই খেলোয়াড়ের জীবনে আরও অনেক পথ বাকি। সেই ধারণা অবশ্য মিথ্যে হয়নি। ক্রমশ বিভিন্ন দলের হয়ে জিতেছেন লিগ ও পদক। তবে সময়ের হিসাবে দীর্ঘ হল না যাত্রা। মাত্র ৪৯ বছর বয়সেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন কার্লটন চ্যাপম্যান।

রবিবার রাতে কোমরের ব্যাথা নিয়ে ব্যাঙ্গালোরের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন কার্লটন চ্যাপম্যান। এরপর ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। সোমবার সকালেই হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে লড়াই শেষ হয়। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, আর কিছুই করার নেই। নিতান্ত অসময়েই খেলার মাঠ থেকে বিদায় নিলেন এক কিংবদন্তি।

১৯৯৩ সালে ইস্ট বেঙ্গলের পর কার্লটন যোগ দেন জেসিটিতে। সেই সময়ে ১৪টি ট্রফি জিতেছিল জেসিটি। তার মধ্যে ছিল ১৯৯৬ সালের জাতীয় লিগও। এরপর ১৯৯৮ সালে আবার ফিরলেন ইস্টবেঙ্গলে। প্রথম সিজনেই এশিয়ান কাপস উইনার্স কাপসে দেখালেন তাঁর পায়ের জাদু। ইরাকের ক্লাব আল-জাওরার বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করলেন তিনি। আর সব মিলিয়ে ইস্টবেঙ্গল জিতল ৬-২ গোলে। ২০০১ সালে জাতীয় লিগও জিতল ইস্টবেঙ্গল। ১৯৯৬-৯৮ সালে খেলেছেন ভারতের জাতীয় দলে। জাতীয় দলের অধিনায়কত্বও সামলেছেন তিনি।

এরপর তিনি খেলেছেন কোচি এফসিতে। পরে ইস্টবেঙ্গল থেকেই বিদায় জানালেন তাঁর প্রিয় বুটজোড়াকে। কিন্তু মাঠ ছাড়লেন না। টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে যোগ দিলেন ইনস্ট্রাকটর হিসাবে। শিলং-এর রয়্যাল ওয়াহিংদো ক্লাবকেও এনে দিয়েছেন একাধিক সাফল্য। ২০১৭ সালে কোয়ার্টজ এফসি-তে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসাবে যোগ দেন। মৃত্যুর দিন পর্যন্ত সেখানেই ছিলেন। কার্লটনের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ ফুটবল সমাজ।

Powered by Froala Editor