পাহাড়চূড়ায় বৌদ্ধবিহারের সন্ধান পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা, গাঙ্গেয় উপত্যকায় এই প্রথম

একসময় বঙ্গ এবং মগধ, অর্থাৎ আজকের বাংলা এবং বিহারে সবচেয়ে প্রচলিত ধর্মট ছিল বৌদ্ধ ধর্ম। বিশেষ করে পালযুগে বৌদ্ধ ধর্মের চর্চা এক বিশেষ পর্যায়ে পৌঁছয়। তার নানা নিদর্শন ছড়িয়ে আছে চারিদিকে। আবার কালের গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে অনেক কিছুই। তেমনই এক হারিয়ে যাওয়া চিহ্ন সম্প্রতি খুঁজে পেলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। শুধুই একটি বৌদ্ধবিহার নয়, গাঙ্গেয় উপত্যকায় এই প্রথম কোনো বৌদ্ধবিহারের সন্ধান পাওয়া গেল, সেটি পাহাড়চূড়ায় অবস্থিত।

বিহার হেরিটেজ ডেভালাপমেন্ট সোসাইটি এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের যৌথ উদ্যোগে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে এই প্রাচীন বিহারটির। বিহারের লখিসরাই জেলার লাল-পাহাড়িয়ার চূড়ায় এই বিহারের বয়স কত, সে-কথা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয়। তবে বিশ্বভারতীর গবেষকরা জানিয়েছেন, হিউ-এন-সাং-এর ভ্রমণকাহিনিতেও এই বিহারের উল্লেখ আছে। বিহারের চারিদিকে ছড়িয়ে থাকা নানা নিদর্শন দেখে এটিকে মহাযান বৌদ্ধ ধর্মের সঙ্গেই সম্পর্কিত বলে মনে করছেন গবেষকরা।

মহাযান বৌদ্ধধর্মের বিহারগুলি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত হত। সাধারণ মানুষের সঙ্গে তাঁরা খানিকটা দূরত্ব বজায় রাখতেন। অবশ্য বিহারের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা নিদর্শনগুলিতে হীনযান ধর্মের প্রভাবই বেশি। তবে সার্বিকভাবে এই অঞ্চলে বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস লেখার মতো যথেষ্ট তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি। আর সেই তথ্য সংগ্রহের পথে এই আবিষ্কার যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সে-কথা বলাই বাহুল্য।

Powered by Froala Editor