ভারতের প্রথম ‘পাখি-মানচিত্র’ মাইসোরে

আধুনিক হয়েছে ক্যামেরা। বেড়েছে বার্ডারদের সংখ্যা। কিন্তু পরিবেশ দূষণ ও অনান্য কারণে ক্রমশ কমে আসছে পাখিদের সংখ্যা। বহু প্রজাতির পাখি হারিয়ে যাচ্ছে বিজ্ঞানের উন্নতির স্বার্থে। কিন্তু ব্যতিক্রম দক্ষিণ ভারতের মাইসোর।

মাইসোরের কারাঞ্জি, কুক্কারাহালি, লিঙ্গাম্বুধি নামের তিনটে এলাকায় হামেশায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় পক্ষীবিশারদদের। কেউ হয়ত ব্যস্ত শাটার টিপতে, কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাইনোকুলারে চোখ রেখে ইতিউতি ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এই প্রথম 'পাখিদের মানচিত্র' বলে ভূষিত করা হয়েছে মাইসোরের এই তিনটি এলাকাকে।

তিনবছরের প্রচেষ্টার ফল পাখিদের এই সমাহার। গ্রীষ্মে অথবা বর্ষায় প্রায় ১০৫ রকমের এবং শীতে প্রায় ১৩০ প্রজাতির পাখি এই অঞ্চলগুলিতে লক্ষ্য করা গেছে। অবাক লাগলেও, কাকের থেকে মাইসোরে এশিয়ান কোয়েলের সংখ্যা অনেক বেশি।

সারা বিশ্বে সব মিলিয়ে ৪০০-৫০০টি পাখিদের মানচিত্র থাকলেও ভারতে এমনটি এই প্রথম। শহরকে আরও আধুনিক করে তোলায় ক্রমশ সেসব জায়গা থেকে সরে যাচ্ছে চড়াইয়ের মত ঘরোয়া পাখিও। তাই শহরের কোলাহল থেকে পাখিদের সরে যাওয়ার কারণ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন ভলেন্টিয়াররা। কিন্তু এতদিনে সে দুঃখ ঘুচল। রীতিমতো পড়াশোনা করে এই তিনটে এলাকায় তারা ফিরিয়ে আনলেন বিভিন্ন প্রজাতির পাখিকে। স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত দেশের পক্ষীবিশারদরা। তাঁরা চাইছেন, পাখিদের এমন মানচিত্র দেশের আরও অনেক জায়গায় গড়ে উঠুক।

More From Author See More

Latest News See More