২০ দিন ধরে অভুক্ত, ডোমকলে রাস্তা অবরোধ ৪০০ পরিবারের

করোনার সাম্প্রতিক পরিস্থিতির জন্য গোটা দেশে লকডাউন চলছে। বাদ নেই পশ্চিমবঙ্গও। সরকারের তরফ থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা হয়েছে। কিন্তু সব জায়গায় সেটা হচ্ছে কি? এই প্রশ্নটাই তুলে দিল মুর্শিদাবাদ। বিগত ২০ দিন ধরে কোনো খাবার পাচ্ছেন না, এমনই অভিযোগ নিয়ে লকডাউন ভেঙে রাস্তায় নামলেন ৪০০ পরিবারের মানুষজন। অবরোধ করলেন রাস্তা। দাবি একটাই, খাবার দিতে হবে তাঁদের।

অকুস্থল মুর্শিদাবাদের ডোমকল পুরসভা অঞ্চল। গতকাল, বুধবার সকালে হঠাৎই রাস্তায় বেরিয়ে আসেন অনেক মানুষ। বহরমপুর-ডোমকল রাজ্য সড়কে। নয় নয় করে প্রায় ৪০০টি পরিবার সেখানে জড়ো হন। কিন্তু লকডাউনে যেখানে বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করছে সবাই, সেখানে তাঁরা এতজন একসঙ্গে কেন বেরোলেন? উত্তর এল সঙ্গে সঙ্গেই— খিদে! পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল, বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হবে। কিন্তু গত ২০ দিন ধরে এই মানুষগুলো কিছুই পাননি। এঁরা বেশিরভাগই দিনমজুরের কাজ করেন। এখন আয়ও বন্ধ। তাহলে কি এভাবেই মরতে হবে! করোনার বিপদ ও ঝুঁকি নিয়েও রাস্তায় নামাকেই বেছে নিয়েছেন তাঁরা।

স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে অবশ্য ব্যবস্থা নেওয়া হয় তখনই। ওই অঞ্চলের বেশ কিছু রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। পরে ওই মানুষগুলোর বাড়িতেও খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। এখন প্রশ্ন, এই গাফিলতি কি আগে কারোর নজরে আসেনি? পদক্ষেপ নিতে এত সময় লাগল কেন? এই মানুষগুলো তো বাধ্য হয়ে, কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছাড়াই পথে নেমেছিলেন পেটের তাগিদে। এঁদের তো আয় নেই এখন। তাহলে তাঁদের দিকে খেয়াল রাখাটা সরকারের কর্তব্য নয়? লকডাউনের এই পরিস্থিতির মধ্যে এমন ঘটনা আবারও বিতর্ক উস্কে তুলছে।

চিত্রঋণ- হিন্দুস্তান টাইমস