দেশে এই প্রথম জাতীয় পরীক্ষার বিষয়বস্তু ‘গরু’, আয়োজিত হতে পারে প্রতি বছর!

পরীক্ষার নাম শুনেই যাদের কম্প দিয়ে জ্বর আসে, সেইসব কচিকাঁচাদের জন্য দুঃসংবাদ বৈকি! তবে মজার ব্যাপার হল, এই পরীক্ষায় বসতে পারবেন ৮ থেকে ৮০ সকলেই। দেশের গো-সম্পদকে বাঁচিয়ে রাখার দায়িত্ব তো সকলের। আর দেশবাসী সেই কাজে কতটা পটু, সেটাই এবার পরীক্ষা করতে চলেছে কেন্দ্রীয় কামধেনু আয়োগ। পরীক্ষার আগের প্রস্তুতিপর্বও শুরু হয়ে গিয়েছে। তৈরি হয়ে গিয়েছে পরীক্ষার সিলেবাস থেকে শুরু করে স্টাডি মেটিরিয়াল সবই।

ভারতবর্ষের বিপুল সম্পদ নিয়ে আগেই কালাপানি পেরিয়েছে ইংরেজরা। আর বাকি যা অবশিষ্ট ছিল; তার অবস্থাটা দেশের বর্তমান জিডিপি দেখলেই বোঝা যায়। ক্রমশ খোয়া যাচ্ছে সবই। বাকি রইল শুধুই গো-সম্পদ। না, এটাকে হারাতে দেবে না কেন্দ্র। এমনিতেই মানুষের কর্মকাণ্ডে বাকি প্রায় সমস্ত প্রজাতিই বিপর্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে যদি একটি প্রাণীকেও বাঁচিয়ে রাখা যায়, তাহলে অবশ্য শেষমেশ ভালোই হবে।

কেন্দ্রীয় কামধেনু আয়োগের ওয়েবসাইটে গেলেই দেখতে পাবেন থরে থরে সাজানো পাঠ্যবস্তু। ই-বুক থেকে শুরু করে টিউটোরিয়াল ভিডিও, সবই আছে। এবার শুধু জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়ার সময়। কারণ পরীক্ষার আর বেশি দেরি নেই। আগামী মাসের ২৫ ত্যারিখ থেকেই শুরু হবে পরীক্ষা। আর তাও অনলাইনেই। কেন্দ্রীয় খাদ্য ও গবাদি পশু মন্ত্রালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হলে থাকবে উপযুক্ত পুরস্কার এবং শংসাপত্রের ব্যবস্থাও। অবশ্য সেই শংসাপত্র কী কাজে লাগবে, তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।

এই প্রথম গো-বিজ্ঞান বিষয়ক জাতীয় পরীক্ষা কর্মসূচি শুরু হল ভারতে। কেন্দ্রীয় কামধেনু আয়োগের আওতায় এমন একটা পরীক্ষার আয়োজন রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে। আধিকারিকরাও বেশ উত্তেজিত পুরো বিষয়টা নিয়ে। এরপর প্রতি বছর এমন পরীক্ষার আয়োজন করা হবে বলেই জানানো হয়েছে। আর সম্পূর্ণ ব্যবস্থার জন্য জীববিজ্ঞানী থেকে গো-সেবক এমনকি ধর্মগুরুদের নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল এক কমিটি। তবে অনলাইন পরীক্ষায় ঠিক কতজন যোগ দিতে পারবেন, তাতে অবশ্য সন্দেহ থেকেই যাচ্ছে।

আরও পড়ুন
‘আমুল গার্ল’-এর জায়গায় গরুর ছবি, চেনা দৃশ্যগুলো বদলে যাচ্ছে এভাবেই

গবাদিপশুর সুরক্ষার বিষয়টি নিঃসন্দেহে বৈজ্ঞানিক। কিন্তু দেশের প্রান্তিক মানুষরা, যাঁরা ইতিহাসের দীর্ঘ সময় ধরে বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে এই কাজ করে আসছেন, তাঁদের গণশিক্ষার মূল্যই বা কতটুকু। প্রশ্ন অনেক। উত্তর শুধু একটাই। গো-সুরক্ষা থেকে ডিজিটাল ইন্ডিয়া এমনকি আত্মনির্ভর ভারত, সমস্ত প্রকল্পকেই যুক্ত করতে চলেছে একটি জাতীয় পরীক্ষা। তবে শেষ পর্যন্ত এই উদ্যোগ দেশের গবাদি পশুদের কতটা সুরক্ষা এনে দিতে পারে, সেটাই দেখার বিষয়।

আরও পড়ুন
‘পরলোকে আমি তোমার জন্য অপেক্ষা করিব’, ফাঁসির আগের দিন মা-কে লিখলেন দীনেশ

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
ঝড়ে ভেঙেছে ঘর, ঘুরে বেড়ায় গরু-ছাগল, করুণ অবস্থা ছাত্রছাত্রীদের