বধির শিশুরা অস্বাভাবিক নয়, পুতুলের কানে হিয়ারিং এইড পরিয়ে বার্তা শিক্ষিকার

ছোটবেলায় পুতুল নিয়ে খেলার সময়, অনেকেই পুতুলের সঙ্গে নিজের মিল খোঁজে। অন্যভাবে বলা যায়, পুতুলের মধ্যে নিজেকেই খোঁজে হয়তো বা। সেই পুতুলের সঙ্গে মিল খুঁজে পেলে, বন্ধুত্ব বাড়ে তার সঙ্গে। কিন্তু সুন্দর পুতুলের চাহিদা যত বেশি, অন্যান্য ব্যতিক্রমী পুতুল সেই তুলনায় অনেকটাই কম দেখা যায়। সম্প্রতি ব্রাজিলের এক বৃদ্ধের কথা জানা গিয়েছিল, যিনি তাঁর নাতনির জন্য তৈরি করেছিলেন শ্বেতী-আক্রান্ত পুতুল। প্রায় তেমনই এক নজির উঠে এল আবার, এক শিক্ষিকার হাত ধরে।

ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়াটসনভিলায়, বধির শিশুদের জন্য তৈরি একটি ছোট্ট স্কুলের শিক্ষিকা জেনেসিস পলিট্রন। তিনি খেয়াল করেন, বধির শিশুরা যে-সমস্ত পুতুল নিয়ে খেলে, সেগুলির সঙ্গে নিজেদের মিল খুঁজে পায় না সহজে। ফলে হীনমন্যতায় ভোগে তারা। সুস্থ-সবল নিখুঁত পুতুলগুলি পরোক্ষে কষ্টই দেয় তাদের। এই মনোবেদনা বুঝতে পেরেই, পুতুলগুলির কানের কাছে হিয়ারিং এইড এঁকে দিয়েছেন জেনেসিস। শিশুরাও, নিজেদের মতো পুতুল পেয়ে খুশি।

ইতিমধ্যেই জেনেসিস সমর্থন ও ভালোবাসা পেয়েছেন অনেকের। এই উদ্যোগ যে পরোক্ষে বধির শিশুদের মনোবল বাড়াতেই সাহায্য করছে, তা জেনে খুশি অভিভাবকরাও। কেউই যে ব্রাত্য নয় – এই অনুভূতির কাছে শিশুদের পৌঁছে দেওয়ার জন্য জেনেসিসকে ধন্যবাদ।