থাইল্যান্ডের দেওয়া নাম ‘আমফান’, রাজ্যে আছড়ে পড়তে পারে আগামীকালই

আমফানের শক্তি ইতিমধ্যেই বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এখনও অবধি বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র। তবে ক্রমশ তার শক্তি এবং গতিবেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে সরে আসছে ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র। ফলে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অঞ্চলের যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি ঘটাতে পারে আমফান।

এখনও অবধি ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩ কিলোমিটার বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। তবে ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় তার গতিবেগ যে অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে, তাতে সন্দেহ নেই। আর মঙ্গলবারের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে চলেছে আমফান। বিশেষজ্ঞদের অনুমান ঠিক হলে এরপর বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড়।

আমফানের সতর্কতায় বিশেষ উদ্যোগ নিতে শুরু করেছেন পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা প্রশাসন। যদিও লকডাউনের জন্য বাড়ির বাইরে মানুষের ভিড় নেই, তবুও সমস্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়া মাঝিদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। ওড়িশায় ইতিমধ্যে দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর ৪৫০ সদস্যের ১০টি বাহিনী প্রস্তুত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গও সবদিক থেকে এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।