রাজ্যের গ্রিন জোনে খুলছে বাস পরিষেবা, সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

করোনা নিয়ে ভারতে চলছে যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি। প্রশাসনিক স্তরেও চলছে একের পর এক বৈঠক। এরই মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই সাংবাদিক সম্মেলনে এসে রাজ্যের হাল হকিকত জানাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কখনও মুখ্য সচিব, কখনও স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ২৭ এপ্রিল বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ও সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। আজও করোনা পরিস্থিতি ও অর্থনৈতিক অচলাবস্থা নিয়ে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক কী কী উঠে এল তাঁর কথায়, দেখে নেওয়া যাক-

আরও পড়ুন
বাড়িতে রেখেই চলতে পারে করোনার চিকিৎসা, এবার রাজ্যের পথে হাঁটল কেন্দ্রও

১) আগামী সোমবার থেকে রাজ্যের করোনা গ্রিন জোনগুলোতে আন্তঃজেলা বাস পরিবহণ শুরু করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রেও থাকছে বিশেষ নিয়ম। গ্রিন জোন হলেও, বাসে ২০ জনের বেশি যাত্রী কোনোমতেই নেওয়া যাবে না।

২) হকার্স কর্নার, ফুটপাতের দোকানগুলো আগের মতোই বন্ধ থাকবে। খোলার অনুমতি দেওয়া হয়নি।

৩) বন্ধ থাকবে সেলুন, পার্লারও। তবে এলাকায় কোন বাজার বা দোকান খোলা থাকবে, সেসবের ভার স্থানীয় প্রশাসনের হাতে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

৪) গ্রিন জোনগুলোতে যে সমস্ত কারখানা আছে, নির্মাণ শিল্প আছে, সেসব খোলার অনুমতি দেওয়া হল।

৫) যে সমস্ত ডাক্তারদের ব্যক্তিগত চেম্বার রয়েছে, তাঁদেরকে সমস্ত সাবধানতার নিয়ম মেনে সেই চেম্বার খুলতে অনুরোধ করা হয়েছে।

৬) রাজস্থানের কোটায় পশ্চিমবঙ্গের যে ২৫০০ জন পড়ুয়া আটকে পড়েছেন, তাঁদেরকে ফেরানোর ব্যবস্থা হয়েছে। আজকেই তাঁরা রওনা দেবেন।

৭) সর্বোপরি, ৫১টি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনার জন্য সরকারি ভাবে নেওয়া হয়েছে।

৮) গ্রিন জোনে পানের দোকান, ইলেকট্রনিকসের দোকান খোলা থাকবে। কিন্তু বাসিন্দারা যাতে

আরও পড়ুন
২১ মে পর্যন্ত চলতে পারে লকডাউন, ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর

সবার শেষে মুখ্যমন্ত্রী-সহ সরকারি আধিকারিক ও মন্ত্রীদের একটাই কথা, সবাই যেন ঘরে থাকেন। গত ২৭ তারিখেই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর সম্ভাবনা নিয়ে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনাকে হারানোর জন্য সবাইকেই সবরকমভাবে চেষ্টা করতে হবে, এই কথাই বারবার শোনা গেল তাঁর মুখে। আমরাও যেন আমাদের নিজেদের জায়গা থেকে লড়াই চালিয়ে যাই।