বিপর্যয় মোকাবিলায় ১০০০ কোটি টাকা ত্রাণ কেন্দ্রের

গত বুধবার পশ্চিমবঙ্গের ওপর আছড়ে পড়েছিল সুপার সাইক্লোন আমফান। সুন্দরবন, দুই চব্বিশ পরগনা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একটা বড়ো অংশ বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। তার ওপর এখনও থাবা বসিয়ে আছে করোনা ভাইরাস। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের বিপর্যস্ত অঞ্চল দেখে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক হাজার কোটি টাকার ত্রাণও ঘোষণা করা হল।

আজ সকাল এগারোটা নাগাদ পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গে পা রাখলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরই রাজ্যপাল জগদীশ ধনখড় এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হেলিকপ্টারে করে সমস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। আমফানের প্রবল তাণ্ডব এখনও ছড়িয়ে রয়েছে সব জায়গায়। তারপর বসিরহাটে নেমে সেখানকার কলেজে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। তখনই এক হাজার কোটি টাকার ত্রাণ তহবিলের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।

এছাড়াও দুর্যোগে মৃতের পরিবারকে দুই লক্ষ টাকা ও আহতদের পঞ্চাশ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। কেন্দ্র থেকে বিশেষ পর্যবেক্ষকের দল এসে সরেজমিনে খতিয়ে দেখবে সব। তারপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রয়োজনে ত্রাণের পরিমাণও বাড়ানো হবে। আপাতত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পৌঁছে গেছেব ওড়িশায়, সেখানকার অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য।

তবে, এর মধ্যেও উঠে আসছে অনেক প্রশ্ন। অনেকেই বলছেন, সারা রাজ্যে যে ব্যাপক ক্ষতি হল, তা কি মাত্র ১০০০ কোটি টাকায় সামাল দেওয়া যাবে? শুধুমাত্র বর্ধমানেই ক্ষতি হয়েছে ৭০০ কোটি টাকার ফসলের। অন্যান্য জেলায় অবস্থা আরও শোচনীয়। কেন্দ্রীয় সরকারের এই ত্রাণ শেষ পর্যন্ত বিপর্যয়ের কতটা সামাল দিতে পারবে, সে-প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।