১০৪ বছর বয়সে পিএইচডি, সামাজিক মাধ্যমে সাড়া ফেলে দিয়েছেন কলোম্বিয়ার লুসিও

“আজকে যা ইচ্ছা করছে, তা আজকেই করে ফেলা দরকার। সময় থেমে থাকবে না। তাই আগামীকালের জন্য কোনো কাজ ফেলে রেখো না।” সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ওঠা একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ১০৪ বছরের একজন বৃদ্ধ সারা পৃথিবীর তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে তাঁর উপদেশ ব্যক্ত করছেন এভাবেই। কিন্তু কে এই বৃদ্ধ? ভিডিও থেকেই জানা যায়, কলোম্বিয়া নিবাসী লুসিও চিকুইটো তাঁর জীবনের ১০৪টি বছর পেরিয়ে এসে নিজের গবেষণা শেষ করলেন। আর সেই গবেষণার স্বীকৃতি হিসাবে পিএইচডি ডিগ্রি পেলেন ম্যাঞ্চেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে। হ্যাঁ, বয়স তো একটা সংখ্যামাত্র। আজও তারুণ্যে ভরপুর লুসিও নতুন নতুন কাজের মধ্যেই খুঁজে পান জীবনের আনন্দ।

পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার লুসিও সারা জীবনে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফল হয়েছেন। পেশাগত জীবনে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছে ইপিএম, সেডিক, ইন্টিগ্রালের মতো বহুজাতিক সংস্থা। আবার সাংসারিক জীবনে নাতি-নাতনি এবং তাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে সুখী ঘরকন্না, সবেতেই বাজিমাত করেছেন লুসিও। আর ৪ বছর আগে নিজের ১০০তম জন্মবার্ষিকীতে লুসিওর মনে হয়, তাঁর কাজ এখনও শেষ হয়নি। বন্যা এবং খরা পৃথিবীর অতি প্রাচীন সমস্যা। বর্তমান পরিস্থিতিতে তার প্রকোপ আরও বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় বন্যা প্রভাবিত অঞ্চল থেকে কীভাবে ক্ষরা প্রভাবিত অঞ্চলে নদীর জল স্থানান্তরিত করা যায়, তাই নিয়েই শুরু করলেন গবেষণা।

গত সেপ্টেম্বর মাসে লুসিওর গবেষণার কাজ শেষ হয়। এরপর ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার ইউনিভার্সিটিতে তিনি তাঁর গবেষণাপত্র পাঠান। ম্যাঞ্চেস্টার থেকেও স্বীকৃতি এসে গিয়েছে কিছুদিন আগেই। আর ১০৪ বছর বয়সে এসেই লুসিও চিকুইটো হলেন ডঃ লুসিও। এই বয়সে এসেও তাঁর এমন উদ্যমের কথা ভাইরাল হয়ে উঠতে বেশি সময় লাগেনি। আর কলোম্বিয়ার একটি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লুসিও তরুণ প্রজন্মের কাছে কয়েকটি বার্তা ররেখে গিয়েছেন। তাতে যেমন শরীরের যত্ন নেওয়ার কথা বলেছেন, তেমনই বলেছেন সবসময় নিজের স্বপ্নের কাছে সৎ থাকার কথাও। একমাত্র প্রতিটি মানুষের স্বপ্নই তাঁদের এই পৃথিবীতে বিশেষ জায়গায় বসাতে পারে। আর এই জীবন তো সমাজের বুকে দাগ রেখে যাওয়ার জন্যই।

Powered by Froala Editor

More From Author See More