মারণ ক্যানসার কেড়ে নিয়েছে যেসব বলিউড তারকার প্রাণ

করোনা ভাইরাসের তাণ্ডবের মাঝেই সম্প্রতি উঠে এল ঋষি কাপুর এবং ইরফান খানের মৃত্যুর খবর। বলিউডের এই দুই স্বনামধন্য অভিনেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সকলেই। সেইসঙ্গে আলোচনার শীর্ষে আরও একটি রোগের নাম, ক্যানসার।

করোনা ভাইরাস হয়তো আর কিছুদিনের মধ্যেই তার সংক্রমণের ক্ষমতা হারাবে। সেইসঙ্গে তৈরি হবে প্রতিষেধকও। কিন্তু এক শতাব্দীর উপর গবেষণা চালিয়েও ক্যানসারের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকরী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ব্যর্থ বিজ্ঞানীরা। কেমোথেরাপি এবং ইউভি রে ট্রিটমেন্টের ফলে রোগ খানিকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও তাতে যে শেষরক্ষা হয় না, ইরফান খান এবং ঋষি কাপুরের মৃত্যুই তার প্রমাণ দিল। চিকিৎসকদের কথায় 'সুস্থ' হয়ে ফেরত আসার পরেও, চলে গেলেন এই দুই অভিনেতা।

সাধারণ মানুষের মতোই তারকারাও ক্যানসারের শিকার হন। আর তাঁদের পেশাগত জীবনের অনিয়মিত যাপনের জন্যই বোধহয়, তাঁদের মধ্যে ক্যানসারের প্রবণতা খানিকটা বেশি। অবশ্য এসবের মধ্যেও বেঁচে থাকার লড়াইটা তাঁরা ছেড়ে দেননি। আজও ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন সোনালি বেন্দ্রে, অনুরাগ বাসু সহ অনেক তারকা। তাঁদের লড়াইয়ের খবর অনুপ্রাণিত করে সাধারণ মানুষকেও। তবে ঋষি কাপুর এবং ইরফান খানের মৃত্যু মনে করিয়ে দিচ্ছে আরও কিছু প্রয়াত তারকার নাম। তাঁরাও মারা গিয়েছিলেন ক্যানসারের আক্রমণেই।

রাজেশ খান্না
তাঁর পরিচয় নতুন করে আর দেওয়ার কিছু নেই। আনন্দ থেকে অমর প্রেম হয়ে আরাধনা – বলিউডের প্রথম সুপারস্টার তিনি। মৃত্যুর ১৮ মাস আগে ধরা পড়ে ক্যানসার। তারপর থেকেই অবস্থা খারাপ হতে থাকে তাঁর। অবশেষে, ২০১২ সালে চিরতরে বিদায় নেন তিনি।

নার্গিস
বলিউডের শুরুর দিকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী নার্গিস। মাদার ইন্ডিয়া, আওয়ারা, আগ সহ অসংখ্য সিনেমায় তিনি চল্লিশ ও পঞ্চাশের দশক মাতিয়ে রেখেছিলেন। ১৯৮১ সালে অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারে মৃত্যু হয় তাঁর।

ফিরোজ খান
বলিউডের স্বর্ণযুগের জনপ্রিয় নায়ক ফিরোজ খান। অভিনয় করেছেন আদমি আউর ইনসান, কুরবানী, খোতে শিকে প্রভৃতি জনপ্রিয় সিনেমায়। ২০০৯ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। এক্ষেত্রেও ক্যানসার থাবা বসিয়েছিল তাঁর শরীরে।

বিনোদ খান্না
সিনেমার পর্দা থেকে রাজনীতির ময়দান, সর্বত্র রাজত্ব করেও ক্যানসারের সঙ্গে লড়াইতে পরাজিত হতে হল তাঁকে। ২০১৭ সালে মৃত্যু হয় এই কিংবদন্তি মানুষটির।

তবে ক্যানসারকে জয় করে ফিরেও এসেছেন অনেকে। তাঁরাই অনুপ্রেরণা। একদিন না একদিন ঠিক জয় করা যাবে এই মারণ রোগকে। আমরাও