করোনা পরিস্থিতি থেকে এখনও মুক্ত হইনি আমরা। সূর্যের ‘সোলার মিনিমাম’ও শুরু হচ্ছে। তারই মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’। বেশ কয়েকদিন ধরেই এর পূর্বাভাস দিয়ে আসছিল আবহাওয়া অফিস। যত সময় এগোচ্ছে, সতর্কতার মাত্রা আরও বাড়ছে ভারতের পূর্ব উপকূলে।
এখনও অবধি প্রাক ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতিতে রয়েছে আমফান। তবে আবহাওয়াবিদরা বলছেন যে গতিতে শক্তি সঞ্চয় করছে, তাতে আজ শনিবার রাতের মধ্যেই এটির তেজ আরও বৃদ্ধি পাবে। আজ সকালের খবর অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি দিঘা থেকে প্রায় ১২৫০ কিমি দক্ষিণে অবস্থান করছে। আন্দামান-নিকোবরে ইতিমধ্যেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। আবহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, আমফানের প্রভাবে আন্দামানে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বর্ষা প্রবেশ করতে পারে।
প্রসঙ্গত, এই আমফান নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড। উত্তর ভারত মহাসাগরে যে ঘূর্ণিঝড়গুলি আসবে, তাদের নামের একটি তালিকা করা হয়েছিল ২০০৪ সালে। সেই ৬৪টি নামের মধ্যে সর্বশেষ নামটি হল ‘আমফান’। তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের অভিমুখ উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে হবে কিনা, সে ব্যাপারে নিশ্চিত নন আবহাওয়াবিদরা। যত সময় যাবে, ততই সেটা পরিষ্কার হবে। যদি উত্তরের দিকে সরে আসে, তবে এটি অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তাতে বিপদে পড়বে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ। কলকাতা-সহ সাত জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ইতিমধ্যেই সমস্ত দিক থেকে তৈরি হচ্ছে প্রশাসন। পরিস্থিতির দিকেই এখন নজর রাখছেন সবাই।